অনামিকার অন্দরমহল
অনামিকা সাহা ও তার স্বামী বিশ্বজিত সাহা দুজনেই অন্দরসজ্জার বিশেষজ্ঞ। বলাই বাহুল্য ওঁদের নিজেদের বাড়ি হবে ছবির মতোই। কিন্তু বিরাট অট্টালিকা থেকে পেল্লায় অফিস বাড়ি সাজাতে গিয়ে বাদ পড়ছিলো ওঁদের নিজেদের বাড়িটুকুই।
তাই অনামিকা সিধান্ত নিয়েছেন অনেক তো অন্যের বাড়ি সাজানো হলো। এবার সেজে উঠুক নিজের বাড়িটুকু। বিশ্বজিত বরং সাজিয়ে তুলুক অন্যের অন্দর।
অনামিকা বিশ্বজিৎ কলকাতার ভিড় ভাট্টা থেকে মুক্তি পেতে মিষ্টি একখানি বাড়ি কিনেছেন শান্তিনিকেতনে। সেটিকে দুজনে মিলে সাজিয়ে তুলেছেন মনের মতো করে। লক্ষ্মী মেয়ে অনামিকার সেই বাড়ি গেলে টের পাবেন অতিথি সেবা থেকে পুত্রের আবদার মেটানো অথবা বাড়ির খুঁটিনাটি নখদর্পনে রাখতে সে কত সিদ্ধ-হস্ত। এ ক্ষেত্রে বলাই যায় সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে।


বাড়িতে ঢুকেই পাবেন ছিমছাম এই বসার ঘরটি। মনে হবে যেন জাহাজের জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন একটুকরো বীরভূম জেলা।

শোয়ার ঘরের দেওয়ালে খড়খড়িওলা জানলাটুকু কিন্তু আসলে দেওয়ালই। পুরো ঘরটিতে চোখ বোলালে পাবেন উনিশ শতক আর একবিংশ শতকের ফিউশন ।

ফুলের কেয়ারি, রঙিন পাথরের রাস্তা আর নরম ঘাসে বোনা বাগানে ইতিউতি ছড়ানো বেতের খাটিয়ায় অনায়াসে কাটাতে পারেন শীতের দুপুর অথবা গরমের বিকেল,সন্ধে।

লোক সঙ্গীত প্রেমী অনামিকা-বিশ্বজিত বাগানের অপর প্রান্তে গড়ে তুলেছেন এই গানঘর। চারদিক খোলা খড়ের চালের মাটির এই ঘরে প্রায়ই বসে গান-বাজনার আসর। এই গানের আসরে ঝুলতে থাকা হ্যারিকেন, পাঁচিলের ঘুলঘুলিতে জ্বলতে থাকা কুপি আর জলে ভেসে থাকা ফুলেল মোমবাতি গানময় রাতগুলোকে অনির্বচনীয় করে তোলে।

অনামিকার বাড়ির সঙ্গে তারও ছবিও দিলাম