দেশলক্ষ্মী

সুজাতা রায়
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে মল্লিক বাড়িতে যখন আমি বৌ হয়ে এলাম তখন আমি সতেরো পূর্ণ করে সবে আঠারোয় পা দিয়েছি।চেহারা – পড়াশোনা সবেতেই অত্যন্ত সাদামাটা আমাকে নিয়ে মা – বাবার কোনও স্বপ্ন ছিল না – আমার ও না।জানতাম বিয়েই ভবিতব্য কাজেই সতেরোও যা সাতাশ ও তাই শুধু শুধু পড়াশোনার চক্করে পড়ে বয়স বাড়িয়ে লাভ কি!মাঝখান থেকে যাও ছিরিছাঁদ আছে বয়স বাড়লে সেটুকুও থাকবে না,কথায় বলে -যৌবনে কুক্কুরী রম্ভা!এসব কথা কাকিমা – জ্যেঠিমাদের মুখ গড়িয়ে আমার কানেও আসতো – তা সত্যি কথায় রাগ করারই বা কি আছে?আমি তাই নিয়মিত পড়াশোনার বদলে হাত পা মুখের পরিচর্চায় মন দিলাম – মাস ছয়েকের মধ্যেই মাজাঘষার ফল ফললো,আমাদের তুলনায় বেশ বড়লোক বাড়ির বৌ হয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে এলাম।শ্বশুর বাড়িতে যৌথপরিবার – এদের হার্ডওয়ারের আর সোনার ব্যবসা।শাশুড়িরা তিন জা, সংসারের চাবিকাঠি তাদের হাতেই, আমরা বৌমারা টুকটাক কাজ করি – খেয়ে গড়িয়ে দিব্য দিন কেটে যায়।যে জীবন আমি চেয়েছিলাম ভগবান যেন খাপেখাপ মিলিয়ে দিলেন।ও হ্যাঁ যে কথাটা বলতে ভুলে গেছিলাম তা হলো আমার স্বামীর আমি দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।প্রথম বৌ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায় কাজেই বাচ্চাকাচ্চা নেই যখন ও নিয়ে আর কেইবা মাথা ঘামায়!আমার মা বাবাও ঘামায় নি,আমিও না।তবে বয়সে চোদ্দবছরের বড়ো একটা লোককে বর ভাবতে মনে একটুও খুঁতখুঁতুনি ছিল না বললে মিথ্যেই বলা হবে,তবে নিম্নবিত্ত পরিবারের কালোমেয়ের আবার ওসব নছোল্লা থাকলে চলে নাকি?
আমার শাশুড়ি মা ছিলেন কাকবন্ধ্যা। আমার স্বামীই তার একমাত্র সন্তান।তবে নিজের দেওর ননদ না থাকলেও আমার তুতোখুতো দেওর ননদের কোনও অভাব ছিলো না কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে আমার সবচেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে উঠলেন আমার শাশুড়িমা।স্বামী কম কথার গম্ভীর মানুষ,ব্যবসার বাইরে কোনও কিছু নিয়েই তাঁর মাথাব্যথা ছিলো না,কচি ডবকা বৌ পেয়ে গদগদ ভাব তো দূরের কথা বরং কোথাও যেন একটু উদাসীন উপেক্ষাই ছিলো,আমার ধারণা প্রথম স্ত্রীকে তিনি ভুলতে পারেন নি এবং সে জন্যই লোকটার প্রতি আমার একটা অন্যরকম ভালোলাগা ছিল।সম্পর্কে শরীর – মন কোনোটাই সেভাবে জাগেনি তবে তাতে আমার মা হওয়া আটকায় নি।
আমার শাশুড়ি এ বাড়ির বড়ো বৌ। শান্ত – অন্তর্মুখী -নির্বিবাদী মানুষ।ফর্সা টুকটুকে(ছেলে কিন্তু বাবার মতো ঘোর কৃষ্ণবর্ণ ) -একমাথা কোঁকড়ানো চুল অপরূপ মুখশ্রীর ছোট্টখাট্টো মানুষটি যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মী প্রতিমা।প্রথম দিন এবাড়িতে পা দিয়ে ওঁকে দেখেই আমার কেমন ভালোলাগার ঘোর লেগে গেল।সে ঘোর দিন দিন বেড়েই গেছে।কখন ঘুম থেকে উঠতেন – কখন ঘুমাতে যেতেন টের পেতাম না।সারাদিন অনুযোগহীন অবিশ্রান্ত কাজ করে যাচ্ছেন।এদের পয়সাকড়ি প্রচুর হলে কি হবে বাঙালবাড়ির রীতি মেনে রান্নার লোক রাখেনা।সব রাঁধুনীর রান্নাই নাকি ‘অখাইদ্য’।এরা যশোর জেলার লোক,শাশুড়িমা ঢাকা বিক্রমপুরের।জেলা টপকে বিয়েই দেওয়া হয়েছিল ঢাকাইয়া রান্নার সুখ্যাতির জন্য।শাশুড়িমা সারাদিন এতোগুলো মানুষের রান্না করতেন হাসিমুখে আমরা পাঁচজন যোগাড় দিলে কি হবে মূল দায়িত্ব একা মায়ের।কখনও কোনও কাজে পান থেকে চুন খসলে শ্বশুর মশাইএর বাক্যবাণ তীরের মতো আছড়ে পড়তো মায়ের উপর,আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম কেউ কখনও ওঁর হয়ে একটা কথাও বলতো না – ছেলেও না।আমার দুই খুড়ি শাশুড়ি -খুড়শ্বশুর এমনকি দেওর ননদদের মধ্যেও মা এর প্রতি একটা চাপা অবজ্ঞা – রোষ কেমন হিলহিল করে বয়ে যেতো যেন।কোনও পারিবারিক আলোচনায়-আত্মীয় স্বজনদের বিয়ে – অন্যকোনও অনুষ্ঠানে কি দেওয়া হবে কে যাবে কোনও কিছুতে মা এর কোনও মতামত নেওয়া হতো না। আমাকেও দেখতে যাওয়ার সময় মা কে নিয়ে যায় নি এরা, এসব আমি পরে বুঝেছি।এই যে কালো- তালঢ্যাঙ্গা(সেকালে বিয়ের বাজারে লম্বা মেয়ের মোটে কদর ছিলো না)পুরো অলক্ষ্মী চেহারার আমাকে পছন্দ করে নিয়ে আসা হলো, আমার ধারণা এও শাশুড়িকে আরেকটু দাবিয়ে দেওয়ার চাল ছাড়া আর কিচ্ছু না – নৈলে আমাকে পছন্দ করার কোনও কারণ ছিল?
শাশুড়ির সঙ্গে আমার কোথাও কোনও মিল ছিলো না,না চেহারায় না কাজকর্মে না স্বভাবে।আমার রূপ -গুন না থাকলে কি হবে মেজাজ ষোলোআনা।অন্যায় দেখলে চুপ থাকতে পারি না – ‘উচিত কথা কমু না ক্যান?’ নতুন বৌ চিরদিন নতুন থাকে না – শাশুড়ির পক্ষ নিয়ে আমি প্রথমে অস্ফুট পরে মারকুট হয়ে মাঠে নামতে শুরু করলাম।ততদিনে আমি তিন সন্তানের মা কাজেই এদের সংসারে আমারও শিকড় চাড়িয়ে গেছে বহুদূর।মা যদিও আমার এই ঝগরুটে আচরণে মোটে স্বস্তি পেতেন না।আড়ালে আবডালে আমার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বাগ মানানোর চেষ্টা করতেন, আমি মায়ের ওপরও ঝামড়ে উঠতাম ‘এতো ভালোমানুষী আমার ভালো লাগে না!সব দোষ তোমার -তুমিই ওদের এতো বাড়িয়েছ!’ মা ভয়ে আমাকেই জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলতো -এভাবেই কখন যেন মা আমার মেয়ে হয়ে গেল -আমি দশহাত দিয়ে মা কে আগলাতে শুরু করলাম।
ঘটনা চরমে উঠলো এক দীপাবলীর লক্ষ্মীপুজোর দিন।এদের বাড়িতে কালীপুজোর দিন অলক্ষ্মীপুজো হয়।গোবর দিয়ে একটা মুখ তৈরি করে তাতে কড়ির চোখ বসিয়ে এক অতি কুৎসিত মুখ বানানো হয় – বাড়ির বাইরে তার পুজো করে কুলোর বাতাস দিয়ে পাটকাঠি জ্বালিয়ে রাতের অন্ধকারে পুকুরের পাড়ে তাকে ফেলে আসার রীতি।ছেলেপুলেরা সব চিৎকার করতে করতে সঙ্গে যায় -‘ঘরের লক্ষ্মী ঘরে থাক /অলক্ষ্মী দূরে যাক’।সেদিন ও এমনি অলক্ষ্মী বিদায় দিয়ে আমরা বৌরা সব ঘরে ঢুকেছি,আমার বছর আটেকের ছোট কন্যা আমায় জিজ্ঞাসা করলো ‘মা ঠাকুরটা অতো বিচ্ছিরি দেখতে কেন গো?’ আমি আলগোছে উত্তর দিলাম ‘অলক্ষ্মী তাই!’ এমন সময় আমার শ্বশুর মশাই আমার শাশুড়ির দিকে আড় চোখে তাকিয়ে ফুট কাটলেন ‘না মনা সব অলক্ষ্মী কুচ্ছিত হয় না – দেখনধারী অলক্ষ্মীরও সংসারে অভাব নেই!’ সবাই হেসে উঠলো,মা অপলকে কিছুক্ষণ বাবার দিকে তাকিয়ে ঘরে ঢুকে গেলেন। সারাদিন উপোস করার জন্যই কি না জানিনা আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল, একবাড়ি লোকের সামনে আমি চিৎকার করে উঠলাম, বাড়িশুদ্ধ লোকের শিক্ষা -দীক্ষা-সভ্যতা-ভদ্রতাকে কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে আমি নিজেই শিষ্টাচার ভুলে শ্বশুর মশাইকে চরম অপমান করে ফেললাম।
দীপাবলীর সমারোহ – পুজোর আনন্দ সব চুলোয় গেল আমি মা কে মায়ের ঘর থেকে হিরহির করে টানতে টানতে আমার ঘরে ঢুকিয়ে দোর দিলাম।ছোট্ট মানুষ টা কাঁপতে কাঁপতে আমার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, এতযুগের জমা অপমান – প্রতিবাদহীন নিভৃত কান্নার সব বাঁধ ভেঙে গেল। সত্য জলের মতো -বাতাসের মতো-আগুনের মতো তার পথ খুঁজে নিলো – মা সব বলে মুক্তি পেলেন – আমি জীবনে প্রথম মানুষের দেখা পেলাম –
‘ঢাকার বিক্রমপুরের অনন্ত চৌধুরী আর কমলা চৌধুরীর পাঁচ সন্তানের তৃতীয় আমি হেমাঙ্গিনী চৌধুরী। সোনার বরণ রূপ দেখেই ঠাকুরদা এই নাম রেখেছিলেন।ঠাকুরদা স্কুল মাষ্টার ছিলেন – বাবাও তাই।জমি জায়গা থাকাতে প্রাচুর্য না থাকলেও অভাব ছিলো না।সেই আমলে আমার ঠাকুরদা নিজে ঠাকুমাকে ঘরেই লেখাপড়া শিখিয়ে ছিলেন।আমার মা শুধু পড়াশোনা জানতেন তাই ই না অপূর্ব গান গাইতেন।আমিও খুব ভালো গাইতাম।ঢাকার পল্টন বাজারে বাবার একবন্ধুর বাড়িতে কাজী নজরুল ইসলাম এসেছেন শুনে বাবা তাঁকে আমার গান শোনাতে নিয়ে গেছিলেন।তিনি খুব আশীর্বাদ করেছিলেন আমার গান শুনে।এই গানের সূত্র ধরেই আমি এই মল্লিক বাড়িতে বৌ হয়ে আসি।যশোরে মাসীর বাড়ি বেড়াতে গেছিলাম।মাসীর বড়ো ননদ আমার গান শুনে এবং তার পুত্র আমার রূপ দেখে এমন পীড়াপীড়ি শুরু করলেন যে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় একরকম অনিচ্ছাতেই আমার বাবা এই বিয়েতে সম্মতি দিলেন কেননা আমার পরে আরো দুটি কন্যার কথা মাথায় রাখতে হবে আশেপাশের লোকজন মনে করাতে লাগলো।গান বাজনা লেখাপড়ার জগত থেকে ছিটকে এলাম মল্লিকদের টাকাপয়সা সোনারূপোর জগতে।যে গানের জন্য এ বাড়িতে আসা সেই গান সবার আগে ছাড়তে হলো – ‘বাঈজী নাকি যে লোককে গান শুনিয়ে বেড়াবে!’ ফুলশয্যার রাতে স্বামী খুব স্পষ্ট করেই তার মতামত জানিয়ে দিলেন।বিয়ের তিন বছরের মাথায় সন্তান হতে প্রথম আমি বাপের বাড়ি যাই।কতো বড়লোকের বাড়িতে বিয়ে হয়েছে তার ঠমক দেখাতে এক গা গয়না পরিয়ে আমাকে পাঠানো হলো।ছ’মাস পরে সব গয়না খুইয়ে ছেলে কোলে আমি শ্বশুর বাড়ি এলাম।কেউ বিশ্বাস ই করলো না চুরির কথা।ভিখিরির ঘরের মেয়ে এনেছে মেয়ের সোনা কোথায় গেছে কারুর জানতে বাকি নেই।বিয়ের পর সেই প্রথম সেই শেষ বাপের বাড়ি যাওয়া তারপর তো দেশভাগ হলো।পাঁচ বছরের ছেলে নিয়ে এপার বাঙলা চলে এলাম।এরা আগেভাগে খবর পেয়েই এপারে জায়গা জমি কিনে সব ব্যবস্হা করে রেখেছিল।দেশ ভাগের দু’বছর আগে আমরা চলে এলাম।আর বাপের বাড়ির সঙ্গে কোনও দিন যোগাযোগ ই হয় নি।মাসীর ছেলেপুলেদের কাছে দেশে থাকতে খবর পেতাম তারপর তো তারাও হারিয়ে গেল।’
‘সামান্য কটা গয়নার জন্য সারাজীবন জুড়ে এই নরক যন্ত্রণা মুখ বুজে সহ্য করলে কেন?একবারও ফুঁসে উঠতে ইচ্ছে হয় নি তোমার?আশ্চর্য!’
‘সামান্য গয়না না রে মেয়ে প্রায় চুয়ান্ন ভরি সোনা!এ কি মুখের কথা!সত্যি চুরি গেলে হয় তো এই জীবনজোড়া অপমানের জ্বালা সহ্য করতে পারতাম না – সত্যি নয় বলেই হয় তো পেরেছি’।
‘চুরি যায় নি – মানে?তাহলে কোথায় গেলো তোমার অতো গয়না?’
‘আমার ঠাকুরদার সবচেয়ে উজ্জ্বল মেধাবী সন্তান
আমার ছোটকাকা ছিলেন স্বদেশী। মাস্টার দার অনুগামী।1930 এর অাঠারোই অগাস্ট যেদিন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন হয় তখন আমার কাকা চোদ্দ বছরের ছেলে।অনন্ত সিং-অপূর্ব সেন-পুলিনবিহারী বল-গনেশ ঘোষ -প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার -কল্পনা দত্তদের মতো আরো অসংখ্য ছেলে মেয়ে মাস্টার দার অনুপ্রেরণায় দেশের জন্য প্রাণ বাজি রেখে ঘর ছেড়ে ছিল। তাদের নাম ইতিহাসে নেই।ঐ ঘটনার পর মাস্টারদার ধরা পড়ে যাওয়ায় দল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও তলেতলে সংগঠন ধরে রাখা – কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ বল দরকার।এরপর দশ বছর কেটে গেছে।কাকা তখন চব্বিশ বছরের যুবক।দেশের জন্য কিশোর বয়সে ঘরছাড়া কাকা লুকিয়ে ঠাকুমার সাথে দেখা করতে এলো মাঘের কনকনে ঠাণ্ডার এক শেষ রাতে। আমি তখন বাচ্চা হতে বাপের বাড়ি গেছি।কঙ্কালসার চেহারা পরনে একখানা ছেঁড়া ফতুয়া – কতোদিন পেট ভরে খেতে পায়না – অমন টুকটুকে ফর্সা কাকাকে ঐ অবস্থায় দেখে আমি আঁতকে উঠেছিলাম। ঠাকুমার কাছে কাকার কাতর আকুতি টাকার দরকার,ঠাকুমার শেষ সম্বল কানের ফুল জোড়া খুলে দেওয়া সব দেখে ভেতরটা কেমন করে উঠলো জানিস – সব ভুলে গেলাম – মনে হল দেশ কি শুধু কাকার – আমার না? সমাজ সংসার ভুলে দেশের জন্য ঝাঁপাতে পারবোনা ঠিকই তাই বলে কি কিছুই পারবোনা?কাকা নিতে চায়নি – ঠাকুমা প্রাণপণ বাঁধা দিয়েছিল – আমিই ছেলের দিব্যি দিয়ে কাকাকে নিতে বাধ্য করেছিলাম। আমার ঠাকুমা তাঁর সন্তান দেশকে দিতে পেরেছে,কাকা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পেরেছে আর সেই বংশের মেয়ে হয়ে আমি এটুকু পারবো না?’
লক্ষ্মী মানে ব্যক্তিত্বহীন – আত্মমর্যাদাহীন -নিরপত্তাহীনতায়ভোগা সংসারের হাঁড়িকাঠে গলা দিয়ে রাখা মেয়ের কল্পনা পুরুষের, সত্যিকারের লক্ষ্মীর কল্যাণ স্পর্শ শুধু চৌকাঠের ভেতরের জন্য না বাইরের ও।সেই লক্ষ্মী নিয়ে ঘর করার যোগ্যতা কটা পুরুষের থাকে? দীপাবলীর দিনের পর থেকে আমার শ্বশুর মশাই আমার সঙ্গে আর কোনদিন কথা বলেন নি ঠিকই তবে শাশুড়ির প্রতি আচরণে সংযত হয়েছিলেন এবং এক দুর্বোধ্য কারণে আমার স্বামীও এতো বছর পর হঠাৎই আমার প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠলেন।
সুজাতা রায়