রিনি আর বাকিরা

রিনি আর বাকিরা

সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 

কথা হচ্ছিল ভারতীদি আর ফাল্গুণীদির মধ্যে।   ভারতীদি কিছু চটজলদি রান্নার রেসিপি যোগাড় করেছে।
“দেখ, সবকটাই টিফিনে দিতে পারবি। আবার বাড়ি ফিরেই খুব তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেললে রুটি দিয়ে দিব্যি খাওয়া হয়ে যাবে” ভারতীদি বলছিল।
ফাল্গুণীদি বিরক্ত মুখে বলল আমি পারব না আর। বছরের পর বছর ধরে এই অফিস বেরোনোর আগে সারা গুষ্টির চা, জলখাবার, দুপুরের ভাত ঝোল, বিমলের টিফিন, রাত্তিরে বাড়ি ঢুকেই আবার কাপড়টুকু কোনোরকমে ছেড়ে গা ধুয়ে চায়ের জল বসানো, তারপর আটা মেখে তরকারি বসিয়ে  পরের দিন সকালের গোছগাছ শুরু করে দিই। তাতেও টিকির টিকির, রোজ  নাকি দেরি হয় আমার ফিরতে,  রাতে খেতে দেরি হলে হজম হয় না এইসব কাঁদুনি।  অথচ রান্নার লোক রাখতে দেবে না। তারা নাকি তেলের পুকুরে আলু  ভাজে।  আরও শুনবি? এখন জুটেছে  পিসিশাশুড়ির বউমার গুণকীর্তন। ছেলের এলটিএর  টাকায়  পিসশাশুড়ি বেনারস বেড়াতে গেছে। বউ কত ভাল নইলে কি আর ছেলে মা বাপ সমেত বেড়াতে যেতে পারত? আজকাল কে আর মা বাপকে নিয়ে বেড়াতে যায়,  এসবও রোজ শুনতে হয়। অথচ আমিও সেই বিয়ের পর বিমলের সাথে একা বেড়াতে গেছিলাম একবারই, তাও দীঘা। এখন শুনি সে নাকি বুদ্ধি করে গেছি। পুরী গেলে ওঁদেরকেও নিয়ে যেত জগন্নাথ দর্শনে, তাই দীঘা গেছিলাম। তেরো বছর আগে একটি বার, তবু আমি খারাপ।  তার সঙ্গে আছে  নিজেদের পিঠ চাপড়ানি। ওঁরা ভীষণ প্রগ্রেসিভ তাই তো বউয়ের চাকরি করায় বাধা দেন নি। নইলে ইস্কুলে পড়ানো ছাড়া আর কিছুই ও বাড়িতে কেউ অ্যালাও করেনি আগে। বোঝ! স্কুল টিচারের চাকরি যেন চাকরি নয়! এত ফালতু কথা, বিরক্ত লাগে।
ভারতীদি এত কথার মাঝে আলতো করে বলে তুই বিমলকে বলিস না কেন অফিস ক্যান্টিনে খেয়ে নিতে? নিজে তো তাই খাস।

ফাল্গুণীদির গলা নামে একটু। বলে, বিমল খুশি হয় রে।  কদিন আগেই বলছিল ওর বন্ধুদের কাছে আমি নাকি আদর্শ বউ, ঘরে বাইরে সমান ভাবে ব্যালান্স চালিয়ে যাচ্ছি নিখুঁত ভাবে।

তবে আর কি! ভারতীদিও হাসে, এত্ত বড় সার্টিফিকেট দিয়েছে।  তাহলে এত রেগে যাচ্ছিস কেন?

রাগছি কারণ ব্যালান্সটা ওরা আমাকে দিয়ে করিয়ে নেয় । আমি করতে চাই এমন তো না।

অফিসযাত্রীদের  চার্টার্ড বাস। মান্থলি ব্যবস্থা। সবাই  যে যার স্টপ থেকে ওঠে। মানুষগুলো মুখচেনা হয়ে গেছে। ভারতীদি রিনির দিকে ফিরে বলে, “কি রে? বাড়ি থেকে মা বাবা বিয়ের চাপ দিচ্ছে না? ক’বছর হল চাকরী?”
রিনি আলতো হাসে “এই তো দেড় বছর হল”
“তাহলে এখন ঠেকিয়ে রাখ। কটাদিন বাড়ির আরামে কাটা। বিয়ে হলেই এই তো শুনছিস”
ফাল্গুণীদি  চোখ পাকিয়ে বলে “শোন রিনি, বিয়ের দরকারই নেই।  ওই বিছানায় ক’মিনিটের সোহাগ ও তুই বুঝতে পারার আগেই নাক ডাকা শুরু। মাঝখান থেকে জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ। মাকড়সার জাল একদম।  পা দিলি কি খপ্পরে সাবাড় হয়ে যাবি। এখন তো মেলামেশা সেক্সটেক্স এমনিতেই চলে। দরকার হলে বয়ফ্রেন্ডের সাথে দুদিন করে ঘুরে আসিস কোথাও। বিয়েতে খবদ্দার পা দিসনা”
রিনি হাসে।  বিয়ে করার ইচ্ছে ওর নিজেরই ষোল থেকে আঠারো আনা।
সন্দীপনের সাথে আলাপ অফিস থেকে ফেরার  পথে। ভালো লাগে স্বপ্নগুলো। সারাদিনের কাজ শেষ হলেও দিন শেষ হয় না। বেরোনোর আগে মুখ ধুয়ে ধ্যাবড়ানো কাজলটা ঠিক করে লিপস্টিকটা আর একবার বুলিয়ে নেয়। দুজনে হাঁটতে হাঁটতে শিয়ালদা।  মাস চারেক হল চলছে ব্যাপারটা।   ট্রেন থেকে নেমেও কথা শেষ হয় না রিনির রিক্সায় ওঠা অবধি। মাঝে মাঝে চায়ের বাহানায় স্টেশন থেকে বসে একটু। শনি রবিবারটা বড্ড লম্বা লাগতে শুরু করেছে আজকাল। আর   সন্দীপনকে বিয়ে করলে ফাল্গুণীদির মত ঝামেলা হবেই না।   হবু শ্বশুর শাশুড়ি থাকেন উলুবেড়িয়ায় । সন্দীপন  ডানলপের কাছে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। চারতলার ওপর ফ্ল্যাট, লিফট নেই। রিনিকে বলে একদিন দেখবে দশ তলার ওপর ফ্ল্যাট কিনব। লিফটে চড়ে হুশ করে উঠে যাব। তদ্দিন অপেক্ষা করবে নাকি আমার সাথে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চারতলায় হেঁটে উঠবে?

তা শেষ অবধি চারতলায় হেঁটে ওঠাই স্থির হল।  ভারতীদি ফাল্গুনীদি অসিতদা সবাই বাসের সহযাত্রী। সবাই মিলে সংসার করার জিনিস গিফট করল।  প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, মিক্সি ইত্যাদি। ভারতীদি আলাদা করে একটা সুন্দর প্ল্যানার দিল। ভেতরে লেখা ‘চাকুরীরতার দিনযাপন’।

 

রিনি দুদিন আগে ঘর ঝাড়তে গিয়ে প্ল্যানারটা পেয়েছে খুঁজে।  শুরুর দিকে লিখেছিল কদিন। সোম থেকে শুক্র সকাল আর সন্ধ্যের প্ল্যান।  তারপর একঘেয়ে একই কথা লিখে কী হবে ভেবে ছেড়ে দিয়েছে।

বিয়ের পর পর ও সন্দীপন আর এক্কেবারে হাতে হাত মিলিয়ে সংসার শুরু করেছিল। আগের মতই সেই শিয়ালদা থেকে ট্রেন। তফাৎ এই যে  ফেরার পথে বাজার করত নতুন কর্তা গিন্নি। নতুন  দম্পতির বাজার করাতেও একটা রোম্যান্স থাকে। দুজনেই দুজনের প্রিয় খাবার নিয়ে কথা বলে। দোকানি  দিদির বদলে বউদি ডাকে রিনিকে। নতুন ডাক, নতুন দায়িত্ব।
চারতলাটা বড্ড উঁচু কিন্তু দুহাত ভরে বাজার নিয়ে হৈ চৈ করে দুজনে সিঁড়ি পার করত।  সন্দীপন বড্ড হাঁফিয়ে যেত। ভারি ব্যাগগুলো নিজে তুলত বলেই নিশ্চই। ঘরে ঢুকে ব্যাগপত্তর নামিয়েই  রিনির দিকে তাকিয়ে বলত “বউ, চা খাব না?”
ব্যাস, এই সময়  থেকেই বাড়িটা একদম রিনিদের বাড়ির মত হয়ে যেত। সেখানেও মা স্কুলের চাকরি সেরে বাড়ি ফিরত বিকেল বিকেল। রিনি বাবা ভাই কারুরই মনে থাকত না যে মাও আসলে চাকরি করে। মারও বিশ্রাম লাগে।  অতএব লাগাতার যোগাড় দিত মা। রিনির বন্ধুরা আসবে, শিঙাড়া মুড়ি চা। পাশাপাশি স্কুল থেকে বয়ে আনা খাতা দেখা। আবার  সন্ধেবেলায় বাবা বাড়ি ফিরলে চা, জলখাবার, রাতের রান্নার যোগাড়, পাশাপাশি পরীক্ষার কোশ্চেন সেট করা।
বিয়ের পর রিনির খেয়াল হল ওকে মা কখনও কোনো কাজ  করতে বলত না নিজে থেকে। বাবাকেও না। রিনির কিন্তু বলতে ইচ্ছে করে।  ভাবে একদিন  ওইই সন্দীপনকে আগে বলবে “এই বর, চা খাবো না?”
তা সে আর বলা হয় কই। সন্দীপনের অফিস চলে গেল সেক্টর ফাইভে। ঠিক হল যে আগে বাড়ি ফিরবে সেই চা করে রাখবে , সাথে একটা কিছু টুকিটাকি খাবার। রিনি খুব খুশি। সেক্টর ফাইভ আর ডানলপ থেকে কতটুকু? সন্দীপনই ফিরবে আগে। আহা, বাড়ি ফিরে চা খেয়ে গা ধুয়ে রান্না চড়াবে রিনি।  রান্নার লোক সন্ধেবেলায় আসতে চায়না তেমন। তাছাড়া নিজেরা রান্নাটা করে নেওয়াও তো একধরণের রোম্যান্স! ওর এক দিদি বিদেশে থাকে । সেখানে কর্তা গিন্নিকে সব কাজ নিজেই করতে হয়।  দিদি বলে ওতে নাকি বন্ডিংও বাড়ে। রিনিদের বন্ডিং অবশ্য এমনিই খুব ভালো। তবে নতুন গন্ধটা চলে গেছে গা থেকে। এখন আর অত গল্প থাকে না। অফিসের ঝামেলা নিয়ে টুকটাক । সন্দীপন আজকাল  বাড়ি ফিরে ল্যাপটপ খুলে বসে। রিনিও বসতেই পারত কিন্তু ওর চাকরিতে এখনও বাড়ি অবধি কাজ বয়ে আনতে লাগে না।
কোনোদিন রিনি বাড়ি ফিরে বলে আজ আর রান্না করতে ইচ্ছে করছে না গো।
সন্দীপন সঙ্গে সঙ্গে ফোন তুলে নেয় হাতে – বল কি খাবে। অর্ডার করে দিচ্ছি।
রিনি বলে আরে! আমার রাঁধতে ইচ্ছে করছে না বলেছি। তোমার করছেনা ধরে নিলে কেন? তুমিও তো বানাতে পার কিছু।

সন্দীপন হেসে ফেলে। বলে ধুত, আমি রাঁধতে পারি একবারও বলেছিলাম তোমাকে বিয়ের আগে?
সে তো রিনিও বলেনি। সন্দীপন জিজ্ঞাসাও করেনি। ধরে নিয়েছে যে অন্যান্য দিন রিনির খুব ভালো লাগে সারাদিন খেটেখুটে বাড়ি ফিরে রান্না করতে, ঘর গুছোতে, বরের সকালে ছেড়ে যাওয়া জামাকাপড় লন্ড্রি বাস্কেটে ভরতে।
রিনি মাকে ফোন করে বলে মা, তুমি কী করে ম্যানেজ কর গো? কী করে পার মা? ক্লান্ত লাগে না?
মায়ের এখনও এক বছর বাকি আছে চাকরীর।  ওপ্রান্ত থেকে একটু ক্লান্ত একটা উত্তর আসে “না পারলে চলবে? আর এত বছর তো যেমন তেমন করে কেটেই গেল রে। এখন আর ভেবে কী করব?”

ফোন রেখে রিনি টের পায় বিয়ের পর সন্দীপনের সাথে না, মায়ের সাথে কোথাও যেন একটা বন্ডিং তৈরি হচ্ছে ওর। শনিবার ইচ্ছে করে ওবাড়ি চলে যায় সক্কালবেলা। সন্দীপনের শনিবার হাফ ডে। রিনি বলে ওখানে চলে এসো। আসলে  ওখানে গিয়ে রিনি মাকে একটু ছুটি দিতে চায়। সরো দেখি, আজ কী মাছ এনেছে বাবু? আমি রাঁধি মাছটা। কখনও বলে মা, আরতিদিকে থাকতে বোলো এই শনিবার। ঘরদোর ঝেড়ে দেবে। আমি থাকব, সুবিধা হবে তোমার।
মা হাসিমুখে  বলে,  কদিন আর। এর পর ছেলেপুলে হলে আর কি এত আসবি? তখন নিজেই দশভূজা অবস্থা হবে দেখবি।

তাইই হবে হয়ত। এখন সবে চারমাস । ফাল্গুনীদি ভারতীদিরা এখনও রিনিকে বাচ্চাই ভাবে। বলল শোন, মেটার্নিটি লিভের মধ্যেই একজন ভালো মেয়ে জোগাড় করিস বাচ্চার জন্য। চাকরিটা চালাবি তো?

চালাবে চাকরিটা ? রিনি ভাবে। পারবে কি?

প্রশ্ন শুনে  সন্দীপন হা হা করে হাসে। তুমি পারবেনা? কেন? তোমার মাকে দেখে শেখনি? তিনি তো চাকরি সামলে দুজনকে বড় করেছেন!
রিনি  অবাক বিস্ময়ে ভাবে  সত্যি! মা যে কী করে পেরেছে! মাইলের পর মাইল ঠেঙ্গিয়ে স্কুল। কাঁধে ওর মত ভ্যানিটি আর লাঞ্চবক্স না। বরং বস্তার মত ইয়াব্বড় ব্যাগে বোঝাই খাতা। বাবা বলত ব্যাঙ্কের চাকরিতে কাজ অফিসেই সেরে আসি আমি আর তোর মা গোটা ইস্কুলটাকে বাড়ি বয়ে আনে রোজ।  রাত জেগে খাতা দেখত মা তখন। বছরের পর বছর। আজকাল সিস্টেম চেঞ্জ হয়েছে কিছুটা। মাও সন্ধেবেলায় ফিরে একটু ঘুমিয়ে নেয়। মার ওপর রাগ হয়ে যায় রিনির। কেন এত করেছ মা? কেন তোমরা এসব প্রিসিডেন্স সেট করে দিয়েছ আমাদের জন্য!
মা বোধহয় বোঝে দ্বিধাটা কিন্তু মানতে চায় না। বলে কী যে বলিস!  চাকরি করলে লোকে বাচ্চাকাচ্চা চাইবে না?
চাইতেই হবে? রিনি ভাবে।  ভারতীদিকে জিজ্ঞেস করে তোমাদের ভয় করেছিল?

করেছিল। এখনও করে রে। ছেলেটা ক্লাস টুয়েলভ। সারাদিন ফোন নিয়ে বসে থাকে। তোদের সোমেনদা বলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে। আমি ঠিক করে মানুষ করতে পারিনি। অথচ আমিও তো তার মতই বাইরে, বাড়ি ফিরতে রাত আটটা বেজে যায়। গোটা দিন ছেলের দিকে চোখ দিয়ে বসা কি সম্ভব?

সেই তো!
ফাল্গুনীদি একটু চুপ থাকে। তারপর বলে রিনি, খুব কষ্ট না হলে মা বাবার কাছাকাছি ফ্ল্যাটে চলে যাস। আমার মেয়েটাকে আমি মা বাবার কাছেই রেখেছি। বেশি দূরে তো না। বাসে দুটো স্টপ। শুক্রবার রাতে নিয়ে আসি কাছে। সোমবার সকালে বিমল মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে আবার দাদুদিদিমার কাছে।
সে কী! তোমার তো বাড়িতে লোকজন আছে!
তা আছে। কিন্তু মেয়েটাকে দেখার জন্য  নেই রে। ঝিমলি হওয়ার আগেই  বলে দিয়েছিল আমাকে আমরা আমাদের ছেলে মানুষ করেছি। তুমিও তোমার মেয়েকে করবে। আমাদের এই বয়সে একটু বেরোনো ঘোরা এসব থাকবেই। এর মধ্যে বাচ্চাকাচ্চার দায়িত্ব নিতে পারব না বাপু।  তা মেয়েটা এখন বড় হয়ে গেছে। ক্লাস এইট হল। কিন্তু এতদিন ধরে এইই চলছে আমার। আর কটা বছর পার করে মেয়েটাকে ভালো কোথাও পড়তে পাঠালে নিশ্চিন্দি।

রিনির খুব অসহায় লাগে। ভয় করে ভীষণ।  এই যে চারিদিকে এত মেয়ে ওদের সকলেরই এক কাঁধে সংসার আর অন্য কাঁধে অফিস? ভারি পেট বয়ে রাস্তা পেরোনো মেয়েটির শরীর ঝুঁকে পড়ছে সকাল ন’টাতেই। বিকেল ছটাতেও এর দিন শেষ হবে না তাই না? রিনি জানে হবে না। ও  বুঝে গেছে গত তিন বছরে ওর দিন কখনও শেষ হয়নি। ও চেনে  সামনে দিয়ে চলে যাওয়া এইসব সুতি তাঁত শিফন কামিজ শাড়ি ব্লাউজ ওড়নার দল আসলে এক একটি পৃথিবী যারা সূর্যের মত উজ্জ্বল  নিজস্ব সংসারটির চারপাশে ঘুরে চলেছে সারাদিন।

ব্যাগে মোবাইলটা কাঁপে। সন্দীপন । ছোট্ট মেসেজ, “বউ কেমন আছে এখন? অফিসে ঢুকেছে?”
রিনি ক্লান্ত হাতে টাইপ করে, হুঁ।  তারপর ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে ভাবে  এই নরম আবেগের চোরাবালিটি তাকে  চিহ্নিত করেছে, বেছে নিয়েছে। এখন এতেই আরাম খুঁজতে খুঁজতে রিনিকে আঁকতে হবে আগামীর ছকটুকু।

সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 

পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 thoughts on “রিনি আর বাকিরা

  1. খুব ভালো লাগলো। তবে একসময় এর মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে পরিত্রাণ ও খুঁজে নেয় মেয়েরা অন্যরকম ভাবে।

  2. ভাল লাগলো। গল্পটা চেনা। তবে এর মধ্যে দিয়েও মেয়েরা একটু হলেও মুক্তির স্বাদ খুঁজে নিতে শিখেছে।

  3. আস্তে আস্তে নিশ্চই বিদেশের মত এদেশেও ছেলেরা ঘরের কাজ করার শিক্ষা পাবে তাদের পেরেন্টস্ দের কাছ থেকে। বিদেশী কালচার আমরা তো ভালোই তাড়াতাড়ি অ্যাডাপ্ট করি। অন্যদিকে আমরা মেয়েরা না শিখতেও সব কিছু কেমন করে যেন পেরে যাই। ভালো লাগল ।

  4. বড়ো ভাল লাগলো বাস্তব তাই হয় তো.
    অসাধারণ লেখা