তুমি দশভুজা

তুমি দশভুজা

ঈশিতা ভাদুড়ী 


ঘর থেকে মাঠ

তুমি নীলাভ চাঁদ, তুমি পদ্মফোটা নদী। 

ঘর তো আসলে রাজ্যপাট তোমার। 

অমসৃণ মেঝেতে পড়ে থাকা 

কাচের টুকরো সব 

সরিয়ে 

মায়াস্পর্শে জুড়ে চলো 

আকন্দের মালা প্রতিক্ষণ, 

দিয়ে যাও তরঙ্গমালা। 

আগাছার মতন বেড়ে ওঠা 

শ্যাওলা উপড়ে 

ঝুমকোলতায় 

ভরে তোলো দেয়াল, 

দুচোখে রূপকথা। 

ঘর তো আসলে আস্ত এক পৃথিবী তোমার।


ঘর থেকে মাঠ

তুমি কুসুমিত জ্যোৎস্না, তুমি গর্জিত ঢেউ।


ঘর থেকে মাঠ এবড়োখেবড়ো পথে 

ছুঁচলো আলপিনের ডগা 

আর কালো কালো আঁচড় পেরিয়ে 

হেঁটে যাও ঋজুভাব। 

রক্তাক্ত পায়ে, বিক্ষত হৃদয়ে 

নতুন 

স্বপ্ন আঁকো 

তুমি প্রতিদিন। 

প্রতিটি বিষাদ, সমগ্র ক্ষরণ 

উড়িয়ে দাও হাওয়ায়। 

কী ঘর কী মাঠ সর্বত্রই 

তুমি মাতঙ্গী, তুমি দশভুজা।


ঈশিতা ভাদুড়ী 


পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 thoughts on “তুমি দশভুজা

  1. সকাল সকাল কবিতা টা পড়ে মনটা ঘর থেকে মাঠে ছোটার জন্য তৈরি হয়ে গেল। রোজ ই তো আমরা ছুটি।
    বড়ো ভালো লাগলো।

  2. একমাত্র নারীরাই পারে…
    দূর্দান্ত।

  3. “কী ঘর কী মাঠ সর্বত্রই”- বলিষ্ঠ, দৃপ্ত উচ্চারণ।
    মুগ্ধ।