ওঁদের যেমন দেখেছি-পর্ব ২

ওঁদের যেমন দেখেছি-পর্ব ২

উমাদির বাড়ি আমি প্রথম কবে গেছিলাম, বলা খুবই শক্ত। একে তো সেটা বহুকাল আগের কথা। দ্বিতীয়ত, সেই সময় এত বার গেছি তাঁর সান্নিধ্যে, সেটাও একটা সমস্যার কারণ উমাদির সঙ্গে আমার দেখা সাক্ষাতের হিসেব রাখার ক্ষেত্রে। ভালোবেসে, একান্ত আপন করে, একেবারে নিজের পরিবারের সঙ্গে সংপৃক্ত করে নিয়েছিলেন তিনি আমায়। আজ এই প্রতিবেদন লিখতে বসে খুব বেশি করে মনে পড়ছে, অফিস থেকে ফেরার পথে তাঁর বাড়িতে বসে সান্ধ্যকালীন জমাটি আড্ডার স্মৃতি। সেখানে মাঝে মাঝে থাকতো আমার অত্যন্ত স্নেহের পাত্রী আর এক শিল্পী সুজাতা রায়। সুজাতার হাত ধরেই উমাদির সঙ্গে পরিচয় আমার। পরবর্তীকালে উমাদির স্বামী রসায়নের দিকপাল অধ্যাপক প্রফেসর সিদ্ধান্ত ও ওঁর ছেলে-বউয়ের সঙ্গেও পরিচিত হই।  

 

ভাস্কর্যের এক প্রবাদপ্রতিম নাম উমা সিদ্ধান্ত । ভাস্কর হিসেবে তাঁর সময়ের পক্ষে অনেকটা এগিয়ে থাকা একজন শিল্পী রূপে সংশ্লিষ্ট সকলের অসীম শ্রদ্ধার পাত্রী ছিলেন তিনি। ভারতের প্রথমসারির মহিলা ভাস্করদের অন্যতম হিসেবে ভাস্কর্যের ইতিহাসে স্থান তাঁর। ওঁর ভাস্কর্যশিল্পের চর্চা সেই সময়, যখন শিল্পের এই দিকটা আমাদের এখানে অনেকটাই পুরুষশাসিত ছিল। মহিলাদের পক্ষে ভাস্কর্যশিল্পের চর্চা করা কতখানি সম্ভব, কেন না তাঁরা শারীরিক ক্ষমতার তুল্যমূল্য বিচারে পুরুষের থেকে পিছিয়ে, এই প্রশ্ন ও সংশয়ের একটা বাতাবরণ ছিল ! উমাদি এই বাতাবরণের একেবারে বিপরীত এক দখিনা বাতাস নিয়ে এলেন ভারতীয় শিল্প জগতে। দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্থান পার্কে ওঁর বাড়ি কাম স্টুডিওতে গিয়ে প্রথমদিনেই বিমুগ্ধ হয়ে যাই। অপূর্ব শৈল্পিক এক পরিবেশ সর্বত্র। আর তার মাঝে ততোধিক শিল্পে-মাধুর্যে ঐশ্চর্যময়ী এক নারী।

 

১৯৩৩ সালের ১১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই বিরল প্রতিভার অধিকারী ভাস্কর। একেবারে ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে ছবি ও মূর্তিগড়ার প্রতি অদম্য আগ্রহ প্রকাশ পায়। তখনই ময়দা দিয়ে ছোট ছোট খেলনা বানিয়ে ফেলতেন তিনি। ডোভার লেনের শিক্ষা মন্দির বিদ্যালয়ে ক্লাস ফোরে পড়েন তখন, সেই সময়ই  বাড়িতে রীতিমতো মাটির কাজ করতেন উমা। স্কুলের বার্ষিক উৎসবে এই কাজের জন্য পুরস্কারও পান তিনি। ক্লাস সেভেনে ওঠার পর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হলো। সেইসময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ এবং শহরে ভয়াবহ দাঙ্গার শুরু। এরপর উমা সিদ্ধান্তের জীবনের যাত্রাপথ নানা বর্ণে রঞ্জিত। বেঙ্গল মিউজিক কলেজে ভর্তি হলেন শাস্ত্রীয়সংগীত শিক্ষার জন্য। সংগীতের পাশাপাশি আর্ট এন্ড ক্রাফটের একটি কোর্সও করলেন সেখানে। গুরু ছিলেন নন্দলাল বসুর ছাত্র ফণীভূষণ দাস। ওঁর কাছে উমা সিদ্ধান্ত ছবি আঁকা, বাটিক, চামড়া ও পটারির কাজ শেখেন। 

 

তবে, উমা সিদ্ধান্তের শিল্পে হাতেখড়ি হয় তারও আগে, তাঁর মায়ের কাছে। আল্পনা, পট, সরার ওপর অপূর্ব চিত্র আঁকতেন উমার মা। মায়ের শিল্প প্রতিভা ও চর্চা এবং পরিবারের আলোকিত পরিবেশ উমার স্বতন্ত্র হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ নিঃসন্দেহে। পরবর্তীকালে ফণীভূষণ দাস ‘নৃত্যভারতী’ নামের অন্য এক স্কুলে যোগদান করেন চিত্রশিক্ষক রূপে এবং উমাও সেখানে ভর্তি হলেন। প্রসঙ্গত, উমা এখানে ফণীবাবুর কাছে ইন্ডিয়ান স্টাইলে পেন্টিং শিখলেন। তুলোট পেপারে মাউন্ট করে, তার ওপর মিনিয়েচার ছবি আঁকা শেখেন ও পাটকাঠিতে করা ভাস্কর্য তৈরিও আয়ত্তে আসে তাঁর। ওঁর কাজকর্ম নিয়ে আরও বিস্তারে যাওয়ার মাঝখানে আর একটু নিজের অমল অভিজ্ঞতা। 

 

একটি বিশেষ বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেব, সেই সূত্রে একদিন গেলাম উমাদির কাছে। অঙ্কন ও ভাস্কর্য বিষয়ে আমার একেবারে সীমিত জানার পরিধি তখন যতটুকু, তা বন্ধু সমীর আইচের সৌজন্যে। আক্ষরিক অর্থেই তা সমুদ্রে এক বিন্দু জল। তাতেও মনে আছে, উমাদির নাম আগেই শোনা ছিল। আর ওঁকে ঘিরে এক চমৎকৃত বিস্ময়ও মনে সঞ্চিত ছিল বরাবর–কারণ, সম্ভবত মহিলা ভাস্করের নাম ততটা শোনা যেত না তখনও। এখনও শোনা যায় কী ? যাই হোক, এইসব অনুভূতি নিয়ে পৌছেছিলাম ওঁর স্টুডিওতে। গিয়েই মুগ্ধ হলাম স্টুডিওর পরিবেশ দেখে, সে তো আগেই বলেছি। তারপর যখন উমাদি কথা বলতে শুরু করলেন, সে যে কী অনির্বচনীয় এক ব্যাপার ! অত খ্যাতি, অত স্বীকৃতি নিয়েও কী ঘরোয়া স্নেহময়ী এক নারী। উষ্ণ আপ্যায়নে এমনভাবে কাছে টেনে নিলেন, যেন কতকালের চেনা ! 

 

তারপরের আপন-কথায় যাওয়ার আগে আরও কিছু তথ্য। প্রশিক্ষণ, চর্চার নানা ধাপ পার হয়ে উমা একদিন পৌঁছলেন সরকারি আর্ট কলেজের দরজায়। কীভাবে, সেটাও এক চমকপ্রদ ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে আবার যখন উমা প্রথাগত পড়াশোনায় ফিরলেন, ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় বসবেন বলে প্রস্তুত হচ্ছেন, তখনই একদিন বাড়িতে এলেন উমার মেসোমশাই স্বাধীনতা সংগ্রামী নলিনাক্ষ সান্যাল। তিনি উমার হাতের যাবতীয় শিল্পকর্মগুলি দেখে বললেন, ম্যাট্রিকুলেশন পরেও করতে পারবে। তোমার আগে আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। ভাগ্যিস এটা বলেছিলেন উনি! 

 

১৯৫১ সালে উমা সরকারি আর্ট কলেজে ভাস্কর্য বিভাগে ভর্তি হলেন। এই প্রসঙ্গে আবারও ওই ভাস্কর্য চর্চায় নারী-পুরুষ ভেদাভেদ, শারীরিক শ্রমের ক্ষেত্রে সক্ষম-অক্ষমের প্রশ্নটি উঠে আসে, যা উল্লেখ একান্ত প্রয়োজন। আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ তখন রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ফর্মে বিভাগ ‘ভাস্কর্য’ দেখে রমেনবাবু প্রবল আপত্তি জানিয়ে বললেন, ভাস্কর্য ভীষণ পরিশ্রমের কাজ। কোনও মেয়ে আগে সেটা করেনি। তুমি ভারতীয় ধারায় ছবি আঁকা শেখো।” উমার অনমনীয় জেদের কাছে অবশ্য রমেনবাবুকে হার মানতে হয় এবং উমা ভর্তি হন ভাস্কর্যের ক্লাসে। ভারতের ভাস্কর্য ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লেখা হলো সেদিন। 

 

তারপরের কাহিনী শুধুই এগিয়ে চলার। এখানে একটা কথা, এই যে ভাস্কর্যচর্চার ক্ষেত্রে শারীরিক শ্রমের বিষয়–এটা নিয়ে যখনই আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে, উমাদির মধ্যে কোনও অভিযোগ, অনুযোগ শুনিনি। কথা উঠলেই বলতেন, এটা ঠিক, কষ্ট হয়েছে। এক একটি ভারী উপকরণ বা শিল্পকর্ম স্থানান্তরিত করা খুবই পরিশ্রমসাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য। কিন্তু তার জন্য থেমে যাইনি আমি। থামার কথা ভাবতেই পারতাম না। মহিলাদের শারীরিক সুস্থতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়েও বারবার বলতেন। এটা না হলে এগোনো যাবে না, এই গুরুত্ববোধও উঠে আসতো ওঁর কথায়। 

 

১৯৫৩ সালে, উমা তখন থার্ড ইয়ারের ছাত্রী, তাঁর ভাস্কর্য ‘অবসর সময়’ একাডেমির সর্বভারতীয় শিল্প প্রদর্শনীতে পুরস্কৃত হয় ও তিনি বি এম বিড়লা গোল্ড মেডেল পান। ১৯৫৪ সালে চতুর্থ বর্ষে পড়াকালীন তিনি দশ ফুটের এক মা ও শিশুর সিমেন্টের ভাস্কর্য তৈরি করেন, যেটি পরে, ১৯৫৭ সালে বসানো হয় হাজরা পার্কে। এটিই ছিল কলকাতার প্রথম ওপেন এয়ার স্কাল্পচার। রামকিঙ্কর বেইজ এই কাজটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। অবশেষে রমেনবাবুর আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণিত করে সরকারি চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাস্কর্য নিয়ে পাঁচ বছরের শিক্ষাক্রম সমাপ্ত করেন উমা সিদ্ধান্ত। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা ভাস্কর। রমেনবাবু নিঃসন্দেহে তাঁর এই ছাত্রীটির জন্য চূড়ান্ত গর্বিত হন সেদিন। 

 

এই মা ও শিশুর ভাস্কর্যটি সম্পর্কে যখন বলছেন উমাদি এক সন্ধ্যায় তাঁর স্টুডিওতে বসে, তাঁর আলোয় মাখামাখি মুখখানি দেখেছিলাম। সে এক অপরূপ প্রাপ্তি, অনন্য উপলব্ধির ক্ষণ। প্রথম মহিলা ভাস্কর, প্রথম মহিলা গ্রাজুয়েট, প্রথম মহিলা ডাক্তার, প্রথম মহিলা পাইলট–এসব শুনে গর্বিত হই আমরা। কিন্তু আমাদের এই গর্বের জায়গায় নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ এই নারীদের কঠিন লড়াইটা ভুলে যাই। উমাদির পারিবারিক পরিবেশ অবশ্যই তাঁর স্বপ্নপূরণের অনুকূল ছিল। কিন্তু ঘরের বাইরে যে বৃহত্তর ঘর অর্থাৎ সমাজ, সেটার পরিবর্তন তো এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রাচীন ধ্যানধারণা, রক্ষণশীল মানসিকতার বেড়া ভাঙা সেদিনের উমার পক্ষে কতটা কঠিন বুঝতে অসুবিধা হয় না। এরই সঙ্গে পরিবারের যাবতীয় কর্তব্য পালন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ঘরের দায়িত্বকে কখনও বোঝা বলে মনে করেননি তিনি।

 

আমাদের আড্ডায় বারবার উঠে এসেছে চারপাশের সামাজিক বিষয়গুলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিধ্বস্ত দেশ, আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোয় ধ্বস। তার প্রভাবে আমাদের যাপন, সামাজিক চেতনা ও শিল্প ভাবনায় আসে আমূল পরিবর্তন। এসবই তাঁকে খুব ভাবাতো। নান্দনিক চেতনার সঙ্গে সামাজিক বিষয়গুলিকে মিলিয়েছেন তিনি। এই অভিব্যক্তি প্রস্ফুটিত উমাদির আদর্শ, কাজ ও শিল্পের সর্বস্তরে। আমিও ওঁকে সেই অনুষঙ্গেই দেখেছি। আর দেখেছি এক অনন্ত প্রতিভার দীপ্তি, অতুলনীয় মানবিকতা, শিক্ষার অন্তর্নিহিত শক্তি এবং আরও বহু শিক্ষণীয় গুণ। স্বামী প্রফেসর সিদ্ধান্তের সঙ্গে কী মধুর এক সম্পর্কে বেঁধে আছেন এই মুক্তমনা নারী–সেটাও দেখেছি। ওঁরা ছিলেন একে অপরের পরিপূরক। পরস্পরের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার মতো এক অকিঞ্চিৎকর সাংবাদিকের সঙ্গেও নিজেদের ওই উচ্চতা থেকে নেমে এসে যেভাবে গল্প করতেন, স্নেহ-মমতায় ভরিয়ে রাখতেন, তা আজ এতবছর পরেও স্মৃতিতে উজ্জ্বল। ভুলবো না উমাদির নিজের হাতে বানিয়ে দেওয়া স্যান্ডউইচ, অমলেট, টোস্ট এবং চা কফির কথা। অফিস থেকে গেলে কখনও না খাইয়ে ছাড়তেন না। 

 

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, লক্ষ্যে অচল, ভাবনায় স্থির, শিল্প আদর্শে অটল উমা সিদ্ধান্তকে নিয়ে লেখা শব্দের বাঁধনে শেষ করা যাবে না। সারা জীবন প্রচুর কাজ করেছেন তিনি, যা একাধারে নান্দনিক ও দৃষ্টান্তমূলক। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। পত্রপত্রিকায় ভাস্কর্য বিষয়ে লিখেছেন। ওঁর লেখা বই আছে বেশ কয়েকটি। সাংগঠনিক কাজকর্মেও আগ্রহ ছিল উমার। শিল্প ও ভাস্কর্যের স্বার্থেই ওঁর এই সংযুক্তি। সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রদর্শনী হয়েছে তাঁর–তার বেশ কয়েকটি একক। ওঁর তৈরি উল্লেখযোগ্য কাজগুলি আজও চর্চার বিষয় নতুন প্রজন্মের কাছে। অজস্র পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। সেসবে ভরে আছে তাঁর ঝুলি। প্রচুর পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। শিল্পের উপকরণ থেকে শুরু করে নির্মাণ-কৌশল–বারবার প্রচলিত গতের বাইরে পা রেখে প্রমান করেছেন, শিল্পের কোনও সীমারেখা নেই। শিল্পীর সৃজনশীল ভাবনার কাছে  সব প্রতিকূলতা প্রতিহত হতে বাধ্য। শুধু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। সৎ থাকতে হবে নিজের কাছে। আজ শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ তিনি। অনেকটা বয়স হয়েছে। স্মৃতি কাজ করে না। তবু, তিনি আছেন আমাদের মধ্যে জ্যোতির্ময়ী আলোকবর্তিকা হয়ে। থাকবেন চিরদিন। 

 

★★ যাঁর তথ্য সাহায্য ছাড়া আমার এই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ–সেই শিল্পী সুমিত দাশগুপ্তের প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখলাম। শিল্প ও শিল্পীর এই মানবিক বন্ধন চিরন্তন হোক, এই প্রার্থনা।

অজন্তা সিনহা

 

পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 thoughts on “ওঁদের যেমন দেখেছি-পর্ব ২

  1. খুব ভাল লাগল। ‘জ্যোতির্ময়ী আলোকবর্তিকা’ – একদম সঠিক বিশেষণ।