দশভূজা দুর্গা না ইচ্ছাময়ী তারা-চয়েস আপনার

দশভূজা দুর্গা না ইচ্ছাময়ী তারা-চয়েস আপনার

সংঘমিত্রা রায়চৌধুরী দাশগুপ্ত

বিষয় যখন ‘ঘরে বাইরে পা’, ঘর আর বাহির শব্দদুটোই, যাকে বলে, কী-ওয়ার্ড। তবু, শুনেই টক্ করে আমার মন আটকে গেল ‘পা’ শব্দে। মগজে ধূসর পদার্থটি কিঞ্চিৎ কম বলে মন নামক আজব বায়বীয় বস্তুটি  দিয়ে সে অভাব পূরণ করার প্রবণতা আমার, ছেলেবেলা থেকেই। মন কোথায় থাকে? বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চলে।আমি মানি নে। কবির মন থাকে তাঁর কলম-ধরা আঙুলে।  গায়কের মন মধুর মত টলটল করে তাঁর কিন্নরকণ্ঠে, ঠিক যেমন পি.টি. ঊষার পদতলে, নাভ্রাতিলোভার কবজির মোচড়ে, মধুবালার হাসি আর স্মিতা পাটিলের কৃষ্ণকলি নয়নতারায় তাঁদের মনের বসত। এত গৌরচন্দ্রিকা গাইলাম যা বলবো বলে, তা খুলেই বলি তাহলে ?

 

আজকের স্বাধীনতা-দর্পী নারী, অনেকটা পথ হেঁটে এসেছি আমরা, ‘মহানগর’-এর ভীরু আরতি-কে পেছনে ফেলে।ঘর আর বাহিরের মধ্যবর্তী চৌকাঠটা আমাদের কাছে আর তত দুর্লঙ্ঘ্য নয়, উপলসঙ্কুল নয় দুয়ের ভেতর যাতায়াতের পথটি। তবুও, আমাদের  ঘরে থাকে যে পা-টি আর যে পা বাইরে যায়, দুই-ই  কি একইরকম নিষ্ঠ আর আন্তরিক? দু’য়ের ভেতরই কি সমপরিমাণ মন পুরে রাখি আমরা, সমান ফুর্তি, সমান আত্মবিশ্বাসে বিচরণ করি উভয় ক্ষেত্রে? সেসব নিয়ে ছেঁড়াখোঁড়া পরে হবে ‘খন, দু’টো ঘটনা বলি আগে, শুনুন।

 

ফার্স্ট-হ্যাণ্ড অভিজ্ঞতা। আমার পুত্র মাস চারেকের হতে না হতে আমার মেটার্নিটি লীভ এবং আরো যা যা প্রাপ্য ছুটি ছিল, ফুরোল, ফলে কাজে যোগ দিতে হল বাধ্য হয়ে। সাত-আট মাস বয়স নাগাদ হঠাৎ মনে হল ওজনটা যেন তেমন বাড়ছে না। নব্য বাপ-মা দুশ্চিন্তায় হাঁকুপাঁকু করতে করতে দৌড়োলাম এক নামকরা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে। প্রবীণ ডাক্তারবাবুটির বদমেজাজী হিসেবে দুর্নাম আছে শুনেছিলাম বটে, তবু  “যে বাচ্চাকে রেখে মা ড্যাংড্যাং করে চাকরি করতে বেরোয় তার ওজন কমবে না তো কার কমবে!”  এমনটা নির্দ্বিধায় বলে দেবেন মুখের ওপর দাঁত খিঁচিয়ে, এতটাও ভাবতে পারিনি। দ্বিতীয় ঘটনাটিও ডাক্তারখানার, আরো কিছুদিন পর, এবার রোগী আমি, চিকিৎসক এক প্রবীণা গাইনোকোলজিস্ট। রাত্তির হলেই তুপলের এনার্জি লেভেল মগডালে উঠে যেত, সঙ্গে জাগতাম আমিও, আবার সক্কাল সক্কাল উঠে বাড়ির কিছু কাজকর্ম সেরে আপিস, অডিট। এখন বুঝি, দিনের পর দিন অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলেই, তীব্র ক্লান্তি ঘিরে থাকতো সবসময়ে। চোখের কোণে কালি, কণ্ঠার হাড় বেরনো, বাসে,ট্রেনে, এমনকি অডিটে গিয়েও ঢুলতাম। সমস্যার কথা শুনে সেই অভিজ্ঞ সুরসিকা ডাক্তারনী বলে উঠলেন, “বাড়ির কাজ, বাচ্চার কাজ, আপিসের কাজ, কনজ্যুগাল ডিউটি, সবকিছু পালন-টালন করেও তুমি অ্যাজ ফ্রেশ অ্যাজ আ ডেইজি থাকবে, ভাবো নাকি?বোকা মেয়ে কোথাকার !”

 

ঘটনাদুটো ঝালিয়ে নিলাম আমাদের ‘বাইরে পা’-কে অন্য মানুষ কী চোখে দেখে, তারই উদাহরণ স্বরূপ। তবে কে কী ভাবলো বা ক’টা বাঁকা কথা কইলো, তার চেয়েও জরুরি, আমি নিজেকে কোন ভূমিকায় দেখতে স্বচ্ছন্দ, কোন ভূমিকাটি আমি বাধ্য হয়ে পালন করি, কীভাবে আমি ভারসাম্য রক্ষা করি ঘর আর বাহিরের মধ্যে, আদৌ করতে পারি কিনা, ঘর-বাহির-ঘর এই গোটা পথটা হেঁটে আমি কতখানি পার্থিব সুখ আর অপার্থিব আনন্দ সঞ্চয় করলাম জীবন’ভর।

 

নিজের কথাই বলি শুরুতে। খুব ছোটোবেলার একটা দৃশ্য ভুলতে পারি না কিছুতেই। স্থিরচিত্র হয়ে গেঁথে আছে মাথার ভেতর। যজ্ঞিবাড়ির হইচই চলতো আমাদের ১৪/১৫ জনের পরিবারে রোজ। কে ভাত খাবে মাছের ঝোল দিয়ে,কে ডাল- আলুভাজা,কে টিফিনে টোস্ট নেবে,কে পরোটা,বাড়িতে যারা থাকবে তাদের কারো পোচ,কারো ওমলেট,কারো পাউরুটি নরম সেঁকা,কারো কটকটে বিস্কুটের মত,চা-এ চিনি কার এক চামচ কার তিন ভুললে চলবে না তাও! সবই হবে কিন্তু কাঠকয়লার উনুনে, গ্যাস নেওয়া হবে না কিছুতেই,গ্যাস নাকি বার্স্ট করে!  ঘরের থেকে রান্নাঘর বেশ খানিক দূর, খোলা ছাত পেরিয়ে যেতে হয়। বর্ষার দিনে খোলা ছাতের ওপর দিয়ে ভিজে ভিজে যাতায়াত হাজারবার। জ্বর হলো তো রক্ষে, বিশ্রাম পাওয়া যাবে একবেলা, নইলে ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে নাক টানতে টানতে আবার উনুনের সামনে ওবেলা। বড়কাকুদাদু, আমার বাবার বড়কাকা,আমাদের যৌথ পরিবারের কমল মিত্র। তিনি ব্রেকফাস্ট খেতেন ঘড়ি-বাঁধা সময়ে, মিনিট পাঁচ/দশ দেরী হয়েছে সেদিন, খাবারের প্লেট হাতে মা প্রায় দৌড়তে দৌড়তে আসছে, দাদুর ঘরে ঢোকার মুখে পা-পিছলে মাটিতে,খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে চারদিকে, হাফ-বয়েল্ড ডিমের গাঢ় কমলা কুসুম মিশে যাচ্ছে লাল-সিমেন্টের মেঝেয়। মা-র খুব ব্যথা লেগেছে, কিন্তু তাতে একটুও বিচলিত না হয়ে গড়িয়ে-যাওয়া তরল আগুনের মত কুসুমের দিকে তাকিয়ে বলছে, “একটা ডিম নষ্ট হল, ইস্!” মা-র সেই বড় বড় চোখের অসহায় দৃষ্টি এখনো চোখ বুজলে মনে করতে পারি।তখন ছোট, খুবই ছোট আমি, তবু সেদিন থেকেই বোধহয় অবচেতনে খোদাই হয়ে গিয়েছিল, এ জীবন আমি কাটাবো না। কিছুত্তেই না। হাফ-বয়েল্ড ডিম না জুটুক,শুধু পাউরুটিই সই,কিন্তু ওই পাউরুটির দামে যেন আমারো কিছু কনট্রিবিউশন থাকে।গৃহশ্রমকে আমি শ্রদ্ধা করতে শিখেছি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে,আজকে দাঁড়িয়ে বিশ্বাস করি তাঁদের অবদান কর্মরত মহিলার চেয়ে একবিন্দু কম নয়। তবু চয়েস যদি বলেন,আমি বাহিরকেই বেছেছি, যতবার অপশন দেওয়া হবে, বাহিরকেই বাছবো।

 

তা’বলে বনানীদির জীবনটাও মিথ্যে হয়ে যায় না কিন্তু এতটুকুও। আমি যখন সদ্য চাকরিতে ঢুকি, তার বছরদুয়েক বাদেই অবসর নেন তিনি। উত্তর কোলকাতার রক্ষণশীল পরিবারের গৃহবধূ ছিলেন। স্বামী ছিলেন বংশের প্রথম ও সম্ভবত একমাত্র সরকারী চাকুরে। অবসরের দেড় বছর আগে যখন সেরিব্রাল অ্যাটাকে চলে যান, বনানীদি পঞ্চাশ পেরিয়েছেন।গেরস্থালিটাকে প্রায় কোলে করে নিয়ে আসতেন আপিসে। আলুথালু শাড়ি, কালো গার্ডারে কোনোমতে বাঁধা চুল বেয়ে টুপটুপ করে জলের ফোঁটা পড়ে ব্লাউজের পিঠ ভিজে গেছে, বগলে ব্যাগ, দৌড়ে দৌড়ে এসেও রোজ লাল কালি, “মাইনেটা তো প্রত্যেক মাসে থুতু দিয়ে গুনে নেন বৌদি, রোজ দেরী করলে চলবে??” ইত্যাদি ঠেস মারা কথা, হাসাহাসি…. এসব ছিল রোজকার রুটিন। আবার এই ‘দেওর’রাই যখন দুপুর দেড়টা বাজতে না বাজতে হামলে পড়তো তাঁর কুমড়োর ছক্কা কিম্বা ডুমুরের ডালনা-ভর্তি টিফিনবাক্সের ওপর, বেলা এগারোটার অপমান ভুলে পরম তৃপ্তিতে খাওয়াতেন বনানীদি,”আর দু-চামচ নিন না”-টাইপের অনুনয় লেগে থাকতো ঠোঁটের কোণে। ওই জিপিএফ, গ্র‍্যাচুইটির নোটশিট, পে-বিল, ক্যাশবই-ওগুলো আসল বনানীদি হয়ে উঠতেই পারেনি কোনোদিন, আসল বনানীদি লুকিয়ে ছিল ওই মোচার ঘন্ট, বড়ির ঝাল, ঠাকুরঘর আর মায়ের মত যত্নের ভেতরটাতে। সেখানে তাঁর মুক্তি ছিল কিনা জানা নেই, আনন্দ যে ছিল অনেকখানি, তা অস্বীকার করি কেমন করে!

 

আবার দেখুন,বহির্বিশ্বে কাঞ্চনমূল্যে শ্রম বিনিময় করে আমি যতই নিজেকে আলোকপ্রাপ্ত, স্বাধীন আর প্রিভিলেজড ভাবি না কেন, দিনের শেষে যেখানে ফিরি সেই ঘরটুকুও কিন্তু আমাদের অপেক্ষাতেই থাকে, ব্যাপারটা আদতে যতই লিঙ্গসাম্যের পরিপন্থী হোক না কেন! আর তাই,  চারদিকে তাকিয়ে দেখুন, মাল্টি-টাস্কিং এ পি.এইচ.ডি. প্রায় সব নারী। এই পেঁপের শুক্তো বানাচ্ছে অসুস্থ শ্বশুরের জন্য, পরক্ষণেই ছেলের লাইফ সায়েন্সের ব্যাঙ এঁকে দিচ্ছে ক্ষিপ্র হাতে, সারা দুপুর জেগে নিজের বানানো বড়ি আর আচার পাহারা দিতে দিতে টেবল ক্লথ বুনছে কুরুশে, ক্লাসরুমে ছাত্রছাত্রীকে অভিকর্ষ পড়াচ্ছে, একটু বাদেই ব্যাঙ্কে টাকা তোলার লাইনে দাঁড়িয়ে আছে দেখতে পাবেন, ফিরেই কেক বসিয়ে দিল ওভেনে, ভ্যানিলার খোশবাই ভেসে বেড়াচ্ছে বাড়ি জুড়ে। আপিস থেকে এক ফাঁকে টুক করে বেরিয়ে মেয়ের ইস্কুলের পি.টি.এম. এ হাজিরা দিচ্ছে, বন্ধু এসেছে প্রবাস থেকে, সন্ধেবেলা তার সঙ্গে ক্যাপুচিনো আর গপ্পোগাছা সেরে, সেল্ফি তুলে সঙ্গে সঙ্গে পোস্টাচ্ছে ফেবু আর ইন্সটায়, ফিরে ছেলের কেমিস্ট্রি প্রজেক্টে চোখ বুলিয়ে, ময়লা জামাকাপড় বসাচ্ছে ওয়াশিং মেশিনে। প্রত্যেকটা দিনকে, দিনের প্রতিটি ঘন্টা মিনিট সেকেণ্ডকে গুনে-গেঁথে, যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করে, কাজ, খেলা, গান, গল্প, কর্তব্য,বিশ্রাম, মুক্তি…. এসব আলাদা আলাদা বাক্সে পুরে ফেলছে অনায়াস দক্ষতায়।

 

অনায়াস! শব্দটা যত অনায়াসে ব্যবহার করে ফেললাম, সত্যি কি ততোটাই সহজ তা? খানিকটা ইন্সটিংক্ট, আর অনেকখানি আজন্ম- লালিত সামাজিক-পারিবারিক সংস্কারই কি আমাদের শেখায় না, তুমি গৃহলক্ষ্মী,তোমার শ্রমেই  সেজে উঠবে তোমার সংসার ? যদিও সেই গৃহে, সে সংসারে, তোমার নিজস্ব কোনো ঘর নেই। লেখার ঘর, পড়ার ঘর, গান গাইবার ঘর….. কিচ্ছু নেই। তুমি মা, তোমার ক্লান্ত হতে নেই, বিরক্ত হতে নেই, অগোছালো হতে নেই, ঘুমিয়ে পড়তে নেই অসময়ে, ভুলে যেতে নেই কোনো কাজ। তুমি সরস্বতীও, শিক্ষাদীক্ষায় কারো চেয়ে কম নও তুমি, পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাইরের পৃথিবীতেও তোমার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। তুমি যে ঘরের টানে বাইরের কাজে ফাঁকি দিচ্ছো না, প্রতি পদে তা প্রমাণ করতে করতে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে নিতে হবে নিজেকেই। জীবিকার সন্ধানে কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ে যাকে বাইরে যেতে হত, এমন অনেক নারীর জীবনে আজকের নিও-নর্মাল দুনিয়ায় ঘর আর বাহির একাকার হয়ে গেছে, জীবিকা আজ তার ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে আরো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে তাকে। নিজের ক্ষমতাকে অতিক্রম করতে করতে ঘর আর বাহিরকে দু-হাতে ধরে জাগলিং করে চলছে সে। প্রত্যেকে হারুণ-অল-রশিদ, প্রত্যেকে দশভূজা। সে দশভূজা হতে তার ইচ্ছে করুক বা না করুক, ওটাই তার ভবিতব্য, ওতেই তার গৌরব।

 

এই গৌরব অর্জনের বাধ্যবাধকতায়,হয়তো বা খানিক লোভেও, সাধ্যকে বারবার অতিক্রম করি আমরা, ঘরে এবং বাইরে। আমার কেন যেন মনে হয়, জোর করে, দায়ে পড়ে কিম্বা সুনামের লোভে যাই-ই করি না কেন, তা যদি আনন্দরহিত হয়, তাতে কোন উত্তরণ নেই, শুধু  ক্ষয়, শুধু শূণ্য হয়ে যাওয়া, ভেতর ভেতর। প্রতিটি বয়োপ্রাপ্ত মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অন্তত স্বয়ম্ভরটুকু হবেন, এটা বাঞ্ছনীয়, নারীও তার ব্যতিক্রম নয়। আবার এই স্বয়ম্ভরতাই তার মানবজন্মের একমাত্র সার্থকতা, নইলে পুরোটাই ফাঁকি এমন সরলীকরণেও আমার আর বিশ্বাস নেই, এতখানি পথ হেঁটে আসার পর। যেমন বিশ্বাস নেই এই প্রত্যাশায় যে ঘরে বাইরে সবজায়গায় নারীকে ফার্স্ট হতে হবে, উইথ ডিস্টিংশন। যে হইহই করতে করতে আনন্দের সঙ্গে, সমান স্বাচ্ছন্দ্যে পদচারণা করলো দু’জায়গাতেই, তাকে সাধুবাদ দিতে কুণ্ঠিত হব না যেমন, তেমনি যে সাংবাদিক মেয়েটি কাজের নেশায় তেমন পরিপাটি সংসার করে উঠতে পারলো না, তাকে, অথবা কলেজের অধ্যাপক যে মেয়ে প্রতিদিন ক্লাস সেরে বাড়ি ফিরে সন্তানকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে, তাকেও গ্রহণ করবো আদরে। কারণ, শেষ বিচারে, প্রত্যেকটি মানুষ ইউনিক, তার দক্ষতা, ক্ষমতা, স্বপ্ন, আশা আলাদা।  নারী বলেই তাকে বেঁধে ফেলবো কতগুলো সমাজ-নির্ধারিত সাধারণীকরণে, এ শুধু অযৌক্তিক, অন্যায় নয়, মানবিকতার পরিপন্থীও বটে!

 

সার্থকতার বোধ তো এক হয় না সবার, তাই না?

সংঘমিত্রা রায়চৌধুরী দাশগুপ্ত

পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 thoughts on “দশভূজা দুর্গা না ইচ্ছাময়ী তারা-চয়েস আপনার

  1. সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গির ঝরঝরে লেখা, ভালো লাগলো।