ফাটল
পুকুরঘাটী বিভাগটি পুকুরঘাট বলে যে মেয়েদের দল আছে কেবল মাত্র তার সদস্যদের মেয়েদের কথা লেখার বিভাগ । এবারে লিখলেন ব্রততী সেন দাস।
ব্রততী সেন দাস
ঋদ্ধিমা আয়নার সামনে বসে ঘষে ঘষে গালে ক্রিম লাগাচ্ছে।অ্যালো ভেরার এই ক্রিমটা বিদেশী নামী কম্পানির, ওর বন্ধু রাখি ওকে এইটার কথা বলেছিল।সত্যি লাগানোর পর ঋদ্ধিমা নিজের ত্বকের আমূল পরিবর্তন দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেছে।মুখের ট্যান,কালো স্পট উঠে গিয়ে গাল কপাল মসৃণ,ফর্সা আর চকচকে হয়ে গেছে।এখন অন্যরাও দেখলে ওর প্রশংসা করে।শুধু তরুণ কিছু বলে না,তাকিয়েও দেখে কিনা সন্দেহ।পুরুষরা কি সবাই এরকম হয়,বিয়ে পুরনো হয়ে গেলে স্ত্রীরা ওদের চোখে ঘষা কাচের আয়না হয়ে যায়, যার দিকে তাকিয়েও দেখে না ওরা নাকি নেহাতই ব্যবহার্য ঔদাসীন্য? ঋদ্ধিমা তো জানত পুরুষরা মেন্টাল প্লেজারের চেয়ে সেক্সুয়াল প্লেজারে বেশি আকৃষ্ট হয় তবে তরুণের এমনটি কেন? যাক গে,অত ভেবে কাজ নেই।এখন ঋদ্ধিমা ক্রিম মেখে নাইটি পড়ে শোবে।শুয়ে একটুক্ষণ মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করবে যতক্ষণ তরুণ বই পড়বে।রাতে শোওয়ার সময় তরুণের বই পড়াটা নেশা বরাবর।বিয়ের পর কিছু বছর নতুন কোন আবিষ্কারের তাগিদে সে পড়া বন্ধ ছিল তারপর আবার যখন ওর ট্রান্সফার জীবন শুরু হল তখন সময় কাটানোর জন্য বইয়ের নেশা আবার করে চেপে বসল।সব রকম বই ওর পছন্দ- থ্রিলার,অ্যাডভেঞ্চার, মিস্ট্রি,ট্রাভেল,সাইকোলজি কী নয়।ঋদ্ধি উঁকি মেরে দেখতে চেষ্টা করে সেক্সোলজির ওপর কিছু পড়ে কিনা ।
লাইট নিভিয়ে ঋদ্ধি পাশ ফিরে শুয়ে রইল।চারদিক নিঝুম,এ সি র একটা একটানা মৃদু শব্দ আর টেবল ক্লকটা টিকটিক আওয়াজ করে চলেছে।
তরুণ পাশ ফিরল,ঋদ্ধি দম আটকে ভাবল এর পর কী?এবার সোজা হয়ে ঋদ্ধি সিলিংয়ের দিকে মুখ করে শুলো।তরুণের কোন নাড়াচাড়া নেই।খানিক পরে একটা মৃদু নাক ডাকার আওয়াজ শোনা যেতে লাগল।তরুণ ঘুমিয়ে পড়েছে।
প্রবল হতাশায় ঋদ্ধি তরুণের দিকে ফিরে ওর মুখের দিকে চেয়ে রইল।নাইট ল্যাম্পের হাল্কা আলোয় ওর ঘুমন্ত নিশ্চিন্ত মুখখানা দেখে একটা গনগনে রাগ তৈরি হতে লাগল।এভাবে আর কতদিন?আজ সাড়ে তিন বছর হল তরুণ এখানে ট্রান্সফার হয়ে এসেছে,এই এতগুলো মাস ধরে প্রতিদিন এই প্রতীক্ষার নাটক ঋদ্ধিকে ধ্বস্ত করে দিচ্ছে! রাতের অন্ধকারে প্রতিদিন একটা প্রত্যাশার জন্ম হচ্ছে আর মৃত্যু ঘটছে।আকাঙ্ক্ষার সুতোগুলো ক্রমশ জট পাকিয়ে এক আগ্নেয়-বলয়ে পরিণত হয়েছে।আগুনের গোল্লা মস্তিষ্কের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অনর্গল পাক খেতে খেতে বুকের মাঝখান দিয়ে নীচের দিকে ক্রমশ গড়িয়ে নামতে থাকে।ঋদ্ধি নরম,নিস্তরঙ্গ বিছানায় বালিশকে মুঠোয় চেপে চোখ বন্ধ করে,তারপর কখন যে ঘুমের মধ্যে তলিয়ে যায় জানতে পারে না ! ভোর বেলা এক ক্লান্তিকর গ্লানি নিয়ে চোখ খোলে।
অনেকবার আড়েঠারে তরুণকে বলার চেষ্টা করেছে ঋদ্ধি,তরুণ কেমন যেন কথাগুলোয় গা করে না।হয় হেসে উড়িয়ে দেয় নইলে এমন ভাব করে যেন সংসারিক জরুরি কথার মধ্যে এগুলো কোন ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। কতবার স্বতোপ্রণোদিত হয়ে ঋদ্ধিমা এগিয়েছে কিন্তু তারও একটা শেষ থাকে।বারবার ও নিজের তাগিদ দেখাতে যেন সম্মানে বাঁধে।অথচ একসঙ্গে জীবন শুরুর দিনগুলির কথা ভাবলে এখনও ঋদ্ধিমার এক অন্য রকম রোমাঞ্চ আসে।আবেগে, ভালবাসায়, সোহাগে তরুণ তারুণ্যে টইটম্বুর ছিল,বরং ঋদ্ধিমা তুলনায় অনেক চাপক্লিষ্ট ছিল।সংসার,সন্তান,অভাব, অভিযোগে নিজের দিকে সে ভাবে নজর দিতে পারত না কিন্তু কখনো ওর মন দৈন্যতার অভিমানে বিবর্ণ হয়নি।স্বাভাবিক বোঝাপড়ায় নৌকা কখনও ঝড়ে টাল খায়নি।কিন্তু ধীরে ধীরে কেমন রঙ ফিকে হয়ে যেতে লাগল।তরুণের ট্রান্সফারেবল চাকরি।অনেক বছর বাচ্চা ছোট,বাবা মা অসুস্থ এই অজুহাতে বদলী ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল কিন্তু এক সময় ডিপার্টমেন্ট আর মানতে চাইল না।বদলী হতে লাগল আর ঋদ্ধিমা নিজের চাকরি, ছেলের পড়াশোনার জন্য কলকাতায় থেকে যেতে লাগল।বিচ্ছেদ শব্দটার মানে নিজেদের জীবন দিয়ে দুজন বুঝতে লাগল।তখন সেও যেন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়াল।রাতের পর রাত মস্ত বিছানায় নিজেকে মেলে, ছড়িয়ে, বিছিয়ে দেওয়া এক নতুন খেলা হয়ে দাঁড়াল।বাতি নিবিয়ে শুয়ে শুয়ে ঋদ্ধিমা মনে করত রাতের সমুদ্রে ডিঙি নৌকোয় চড়ে ও ভেসে চলেছে। দুই দিগন্ত ছোঁয়া উপুড় করা আকাশে রোহিনী,স্বাতী,বিশাখা,কৃত্তিকার মত কত নক্ষত্ররাজি, কালপুরুষ,সপ্তর্ষিমণ্ডল দেখতে পায়।দেখতে পায় তরুণকে,যার ওপর দুলতে দুলতে এক সময় ওর চোখ লেগে আসে।এক ঘুমে ডুব দিয়ে নিদসাগরের তলদেশ থেকে কুড়িয়ে আনে স্বপ্নের নুড়ি পাথর।ঠান্ডা মেশিনেও শরীর ঘর্মাক্ত হয়।একটা কালসাপ যেন শরীরটাকে পেঁচিয়ে রেখেছিল।ধীরে ধীরে শিথিল করে দেয় পাক।স্তনাগ্র থেকে নাভিমূল,তারপর তলপেট চুঁইয়ে সে নীচের দিকে সরে যায়।
প্রতীক্ষায় থাকে তরুণের।ওর গাঢ় শ্বাস প্রশ্বাস,বাহুমূলের ঘাম,ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি আর প্রশস্ত বুকের রোমরাজি ওকে আহ্বান করে নিয়ত।তরুণের মাসকুলিন স্ট্রাকচার আর মাসকুলিন সৌরভ ওকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়।এতটুকু স্পর্শ কাঙ্ক্ষিত প্রেম এনে দেয়।ঋদ্ধিমা সুন্দরী,আকর্ষণীয় আর আবেদনময়ী।আটচল্লিশ বছর বয়সে মেনোপজের গোড়ায় এসেও যৌবন টাল খায়নি এতটুকু বরং সামান্য মেদের ছটায় লাবণ্যে ভরপুর হয়েছে।নিজেকে সাজিয়ে নিয়ে বেরোলে পুরুষদের চোখে পড়ে যায়, এড়াতে পারে না।কিন্তু আশ্চর্য হল ঋদ্ধিমা কারোর প্রতি আকৃষ্ট হয় না।তরুণের বন্ধু,কলিগ,প্রতিবেশীদের ফোকাস আর আকর্ষনের বাইরে ও কখনো থাকে না তবুও ওর তরফ থেকে সবের প্রতি একটা ঔদাসীন্যই কাজ করে।কারণ কী ও নিজেই বোঝে না।হয় ওর নীতিবোধের প্রাবল্য ওকে প্রতিরোধ করে নয় বিগলিত পুরুষদের মধ্যে ও আকর্ষণ খুঁজে পায় না। প্রেমিকের মধ্যে যে আবেগ,সামান্য ঔদাসীন্য,অগাধ স্পেস,বিশ্বাস সে খোঁজে তরুণের মধ্যে সবটুকু সে একদা পেয়েছিল।আর কে না জানে পুরুষের নির্মোহতা নারীকে সবসময় কাছে টানে।তাই বোধহয় ঋদ্ধিমাও তরুণের থেকে মন সরাতে পারে না।কিন্তু তরুণ আজকাল কেমন ভিজে মুড়ির মত মিইয়ে যাচ্ছে। এক এক সময় ঋদ্ধিমার সন্দেহ হয়, তরুণ কি কোন গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে? কিন্তু অনেক কড়া নজরদারিতেও ঋদ্ধিমা তেমন অভিযোগের কোন কারণ খুঁজে পায়নি।সংসার,পরিবার এমনকি স্ত্রীর প্রতি কর্তব্যকর্মে কোন ব্যতিক্রম হয়নি,শুধু বিছানায় এমন শীতের ময়াল সাপের মত শীতল আর নিস্পৃহ কেন থাকে? ডাক্তারি সমস্যা,কাজের চাপ বা অন্য কোন প্রেশার ? কিন্তু সমস্যা হল তরুণ এ বিষয়ে একেবারেই ওয়াকিবহাল নয় বা হতে চায় না।দিব্যি বলে–আরেঃ বয়স হচ্ছে, আর কত দিন?
– আহা! জামাইবাবুরও তো বয়স হয়েছে,তোমার চাইতে দশ বছরের বড়।তাহলে তারা অমন আছে কী করে?
তরুণ যেন একটু বিরক্ত হল,বলল– তারা কেমন আছে তাদের জিজ্ঞাসা করো।তুমি কি তুলনা করতে বসেছো?
– বসতেই পারি,তোমার অসুবিধে না ঘটলে তুমি তা নিয়ে কেন ভাববে না? এ যদি আমার তরফ থেকে হতো, তুমি এমন কুল থাকতে? থাকতে না!
– আমি এরকমই থাকতাম।কারণ এ তো কোন কারেন্ট অ্যাকাউন্ট নয় যে সারাজীবন ভাঙিয়ে খাবে।এক সময় আমরা এই জীবন যথেষ্ট উপভোগ করেছি।এখন বয়সের সাথে সাথে অনেক কিছু কম বেশি হতেই পারে।এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হয়।
ঋদ্ধিমা তরুণের কথা শুনে একটু কুণ্ঠিত হলো। সে সঙ্গে রেগেও গেল খুব।কুণ্ঠিত হল নিজের চাহিদার এমন নির্লজ্জ প্রকাশে ও অভ্যস্ত নয় বলে।ঋদ্ধিমা খুব বুঝদার, ওর এই স্বভাব এক্ষেত্রে কেন প্রয়োগ করতে পারছে না,ওকে কেন মুখ ফুটে চাইতে হচ্ছে?
তরুণকে ও বলল– একবার ডাক্তারের কাছে গেলে ভাল হতো না?
– নাহ্! আমি তার প্রয়োজন দেখছি না।
একটু হেসে বলল– তার চেয়ে তুমি একটা কাজ কর,কারোর সঙ্গে একটা জমিয়ে প্রেম করো।তোমাদের অফিসে শমিত নামে……
ঋদ্ধিমা হিসহিস করে বলে উঠল– তুমি সইতে পারবে,তোমার বউ অন্য কারোর সঙ্গে যখন শোবে?শোন, ছেলেরা যতটা অনায়াসে বলে ততটা তারা উদার নয়।মানতেই পারবে না যে বউ অন্য কারোর কাছ থেকে সুখ জড়ো করছে।ইগোতে লাগবে।করছি না তাই মজা মারছো।করলে বলতে না বুঝলে।বিকাশদার কেস মনে নেই,নিজে প্রেম করত যখন বউদি প্রেম শুরু করল তখন সুড়সুড় করে পতি পরমেশ্বর হয়ে গেল।
তরুণ বউকে আর একটু চটানোর জন্য বলল– করেই দেখ না।
– তোমার লজ্জা করে না বউকে ঠেলে দিচ্ছো? তোমার কি ধারনা আমি পারি না?
দুজনের মধ্যে একটা ফাটল তৈরি হল,সেই ফাটল বাড়তে বাড়তে একটা খাদে পরিণত হল যার এপার ওপার হওয়া আর সহজ রইল না।ঋদ্ধিমা ভাবল হয়ত তরুণ ওর বংশের ধারা পেয়েছে,পরিণত বয়সে কামোত্তেজ্জনার ঘাটতি হয়ত ওদের বংশের ধারা।শ্বশুর শাশুড়ি কে ঋদ্ধিমা যখন দেখেছে দুজনেরই তখন বয়স হয়েছিল।কিন্তু ওঁদের মধ্যে সেরকম বোঝাপড়ার অভাব ওর চোখে পড়েনি যাতে বোঝা যায় কোন অভাববোধ ছিল,বেশ ভালবাসায় ছিলেন দুজনে।দুজনে চলেও গেলেন পরপর,কিছু বছরের তফাতে।তরুণ আর ওর মধ্যে যেমন একটা নিস্তেজ ব্যবহারিক সম্পর্ক তেমনটা কিছু ছিল না ওঁদের মধ্যে ।অথচ তরুণ ঋদ্ধিমার বাকি সব বিষয়ে বোঝাপড়া দেখলে বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই।
ঋদ্ধিমা পরিশ্রমের বহর বাড়িয়ে দিল যাতে রাতে বিছানায় শুতে না শুতে ঘুমিয়ে পড়ে।কিন্তু তাও কোন কোনদিন তরুণের পাশে শুয়ে সেই পুরনো উসখুসানি চাগাড় দিয়ে উঠত।বার বার উঠে ঘাড়ে মুখে জল দেওয়া,জল খেতে হতো।এমনকি অন্ধকার দেওয়ালের দিকে ফিরে শুয়ে তরুণের জায়গায় অনেকগুলো মুখ মনে করতে চেষ্টা করত … শমিত,দীপ্তেন্দু কিংবা অফিসের একাউন্টেসের নতুন ছেলেটির মুখ,কিন্তু কিছুতেই ওদের মধ্যে সেই আবেগ খুঁজে পেত না যা তরুণের মধ্যে ও এক সময় পেত।আবেগহীন যৌনতা তো শুধু পাশবিক যৌন চরিতার্থতা! ওর ডিপার্টমেন্টের দীপশিখা একদিন কথায় কথায় বলেছিল– ঋদ্ধিমাদি কিছু মনে করো না তুমি যতই হাসিখুশি থাকো না কেন , তোমার দৃষ্টির মধ্যে কিছু একটা না পাওয়া যেন ভেসে ওঠে তুমি জানো ?
ফাঁকা সিলিঙয়ের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে একদিন ঋদ্ধিমা আবিষ্কার করল ,সারাদিন যেমন তেমন।রাতের বেলা বিছানায় পাশে তরুণের অস্তিত্ব ওকে অতিষ্ঠ করে তোলে।এক্টু একটু করে গুড়ি মেরে ওদের সঙ্গলাভের সমস্ত স্মৃতি ঋদ্ধিমার চেতনায় জায়গা করে নেয়।রাতের অন্ধকার,নির্জনতা ওকে আঁচড়ে কামড়ে ধ্বস্ত করে।দাবানলের আঁচ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে একদিন পালাতেই হয়। প্রথমে ওদের জোড়া সিঙ্গল খাটের বিছানা আলাদা হল।তারপর একদিন ঋদ্ধিমা দোতলায় শ্বশুর শাশুড়ির ঘরে একটা খাট আর ওর ব্যবহার্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিল।রাতটুকু যাতে নির্বিঘ্নে কাটে আর এক ঘুমে যাতে রাত কাবার করে দিতে পারে তার ব্যবস্থা ঋদ্ধিমা করে নিল সারাজীবনের মত।
ব্রততী সেন দাস
কি ভীষণ রিলেট করতে পারছি । দারুণ লেখা….
একটি অসম্ভব সাহসী এবং বলিষ্ঠ লেখা!!
বিষয়বস্তু অত্যন্ত জটিল এবং স্পর্শকাতর হওয়া সত্ত্বেও লেখিকা শ্রীমতী ব্রততী সেনদাস দুর্দান্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে সেটিকে খুব নিরপেক্ষ ভাবেই বিশ্লেষণ করেছেন এবং সঠিক বাস্তব চিত্রটি নির্ভুলভাবে তুলে ধরেছেন এই লেখাতে! “মেল মেনোপজ” বা পুং রজনিবৃত্তি আজকের দিনে একটি বাস্তব সমস্যা এবং প্রায় প্রত্যেক মাঝবয়সী দম্পতির জীবনেই এই সমস্যা আসছে! অতৃপ্ত দম্পতিরা (বিশেষতঃ পুরুষেরা) মনে করছেন যে বিবাহ-বহির্ভুত প্রেমহীন শারীরিক সম্পর্ক এর একমাত্র সমাধান কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই চেষ্টা আরও বড়ো সংকটের জন্ম দিচ্ছে!!!
লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি সাহসী লেখা উপহার দেবার জন্য!! ওনার লেখনীকে কুর্নিশ জানাই!!!
ধন্যবাদ!
সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক সত্যি হয়তো খুব কম মানুষের জীবনে হয়। বিষয়বস্তু ভীষন বাস্তব ও স্পর্শকাতর। অপূর্ব লেখনী বেশ ভালো লাগল ।
ভালো লাগলো খুব।
খুব সুন্দর লিখেছ
ভালো লাগলো
খুব ভালো লাগলো।
❤️
ভালো লাগলো
খাঁটি বাস্তব। ফাটল তো এভাবেই ধরে