ঘাটের কথা

প্রাচীন গ্রিসদেশের ‘আগোরা’ বা মার্কেটপ্লেসের নাম হয়ত অনেকেই জানেন। এই আগোরা থাকত শহরের কেন্দ্রে, যেখানে লোকে জমায়েত হত নানান ঘোষনা শোনার জন্য, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতির খবর পাওয়ার জন্য বা সমাজ, অঙ্ক, সাহিত্য দর্শন নিয়ে নেহাতই আড্ডা দেবার জন্য। অথবা ধরুন আমাদের দেশের চন্ডীমন্ডপ যেখানে পরনিন্দা থেকে বিশ্বযুদ্ধ কোনও আলোচনাই বাদ যেত না। কিন্তু আগোরাই বলুন আর চণ্ডীমণ্ডপই বলুন তা ছিল পুরুষদের আড্ডা দেবার জায়গা। বাংলায় মেয়েদের মনের কথা বলার জায়গা ছিল পুকুরঘাট। সেখানে মেয়েরা ঘরের কথা, মনের কথা, সুখের কথা অসুখের কথার সঙ্গে কখনও হয়ত দেশের কথাও বলত। ধরেনিন আমাদের এই পত্রিকাটি সেই পুকুরঘাট। যেখানে আমরা মন খুলে নিজেদের কথা বলতে পারব। প্রেমের কথা, প্রকৃতির কথা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, সাজগোজ, রান্নাবান্না, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স থেকে ঘর সাজানো, পিউবার্টি থেকে মেনোপজ, বোরখা থেকে ব্রা যা খুশি।
আসলে একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।