ঘরে বাইরের সাজগোজ

ঘরে বাইরের সাজগোজ

পুকুরঘাটের কভার স্টোরি মানে এখানে যার নাম মোদ্দাকথা তার বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই আমাদের সাজুগুজুর পাতাটিকে সাজাবো বলে স্থির করেছি। সব বার এমনটা হবেই একথা দিতে না পারলেও আমরা চেষ্টা করবো। আগের সংখ্যায় যেমনটি বলেছি আমরা, যে আমাদের কাছে সাজুগুজু মানে কেবল সাজানো মডেলরা নয়। আমাদের রোজকার জীবনের সমস্ত মানুষরাই আমাদের মডেল। তাতে আমি আপনি থেকে সেলিব্রিটি সকলে থাকতে পারেন। তাকে ষোড়শি, তন্বী, বিউটি প্যাজেন্ট ঘোরা কাউকে হতে হবে তার কোনও মানে নেই। কেবল তাঁকে নিজে সাজতেই নয় অন্যকে সাজাতেও ভালোবাসতে হবে। ব্যাস এটুকুই।

“যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে” এই প্রবাদের প্রমাণ দিতে এবারের পুকুরঘাটের সাজুগুজুর পাতাটির জুড়ি নেই। কারণ এবারের পুকুঘাটের বিষয় ঘরে বাইরে পা। আমাদের সাজুগুজুর পাতার আজকের দুজন অতিথি এই বিষয়ের আদর্শ  হতে পারেন। গার্গী  আর সূপর্ণা । আসুন তাঁদের সঙ্গে আলাপ করি। আর দেখি তাঁদের আজকের সাজুগুজু।

 

গার্গী 

আমাদের এবারের মডেল গার্গীকে গৃহবধূ বলতে গেলে আপনাকে দুবার ভাবতে হবে। গার্গীর স্বামী প্রবাসে কর্মরত। গার্গী তার ছোটমেয়েকে নিয়ে কলকাতায় থাকেন। মেয়ের পড়াশোন, দোকান-বাজার, লৌকিকতা এইসব সামলান একা হাতে। তার মধ্যেই ভালোনাসেন রান্না করতে। নিজের এপার্টমেন্টটিকেও সাজিয়ে রাখেন খুব যত্ন করে। কিন্তু এসবের পরেও নিজেকে মেইনটেইন করতে ভোলেন না। অতয়েব বোঝাই যাচ্ছে গার্গী ঘরে বাইরে সামলাচ্ছেন একা হাতে। এতো কিছু সামলেও গার্গী শরীরচর্চা পোশাক-আশাক ও খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও  খুবই যত্নশীল। সাজতে ভালোবাসেন গার্গী। ওর সাজ, অনায়াসে যে কোনো পোশাক ক্যারি করার ক্ষমতা অনেক পেশাগত মডেলের থেকে কম নয়। যে কোনও ধরেনের সাজে গার্গী স্বছন্দ, তা সে ভারতীয় হোক বা পশ্চিমী। বাজার দোকান, পার্টিতে বা কফিশপে যখন যেখানে যান গার্গী পরে নেন নিজের পছন্দের পোশাকটি। অবশ্যই জায়গা অনুসারে সে পোশাক হয় ভিন্ন।

 

সূপর্ণা

সর্বার্থেই ঘরবার দক্ষতার সঙ্গে চালান সূপর্ণা। ব্যঙ্গালোর নিবাসী সূপর্ণার দুটি সন্তান।  তিনি দারুণ  যত্ন করেন স্বামী, সংসা্‌ সন্তানে্‌র, সে যত্নে সূপর্ণার ত্রুটি নেই এতোটুকু। কিন্তু এই যত্ন, এই ভালোবাস যে যে সূপর্ণা একা ঘরের মানুষের জন্যই কেবল রেখে দেননি, তিনি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তাই তো সূপর্ণা বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্ছাদের একটি স্কুল চালান নিজে। সে বাচ্ছাদের নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসায় গড়ে তোলেন, বড় করে্‌ শিক্ষা দান করেন। জগতের আর সংসারের এতোবড় দায়িত্ব সামলেও কিন্তু সূপর্ণা নিজেকে সাজাতে ভোলেন না। তিনি জানেন নিজেকে যত্নে না রাখলে , ভালো না বাসলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া কঠিন। তবে সূপর্ণার সাজে থাকে এক স্তিমিত রূপ সবসময়। তা তিনি ভারতীয় বা পশ্চিমী যে পোশাকই পরুন না কেন।

 

 

পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 thoughts on “ঘরে বাইরের সাজগোজ

  1. Drubo sotto katha je radhe, se chul o badhe,,,, aki niyame amra mane sadharan grihobodhura gharkanna chalie samayopujukto jaygay sajuguju bajay rekhe chalie jachhi

  2. খুব ভাল লাগল। ঘরেবাইরে সামলে নিজেকেও দেখতে হবে বৈকি