ঘরেও নহে পারেও নহে

ঘরেও নহে পারেও নহে

সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

সম্পাদিকা মহাশয়া লেখার বিষয়বস্তুর শিরোনাম ঘোষণা করার সময় পরপুরুষ কথাটা আগে লিখে পরপুরুষকে বরের চাইতে বেশি মান্যতা দিয়েছেন বলেই আমার ধারণা। যেহেতু ধারণা ,তাই তা ভুল হতেও পারে! তবে সম্পাদিকার কাছে পরে কখনও পরনারী এবং ঘরনারী নিয়েও একটা আলাদা সংখ্যা বের করার অনুরোধ রাখছি ।

বরপুরুষের জ্বালায় ভাজা ভাজা হয়ে যাওয়া নারী পরপুরুষের ছায়ায় একবেলা হেলান দিয়ে দাঁড়ালে বা বসলে খুব কী ক্ষতি হবে? বরং লাভ হবে। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, অফিসের কলিগরা একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাবেন। চিরকালের মুচমুচে টপিক। বিজেপি,তৃণমূল,করোনা, গ্যাসের দামের থেকেও উত্তাল করা একটা বিষয়।

অবশ‍্য তার আগে একটা ব্যাপার খোলসা করতে হবে নিজের কাছে। বরপুরুষ থাকতেও পরপুরুষের প্রয়োজন পড়ছে কেন? বরপুরুষের কাছে যা যা থাকে,পরপুরুষের কাছেও তো তাই তাই – ই থাকে। দুটো হাত,দুটো চোখ, দুপাটি দাঁত,হাসি,খিঁচুনি, ফোন না ধরার প্রবণতা,উপেক্ষা, …. সব তো প্রায় একইরকম! তাহলে? পরপুরুষের চাউনি,স্পর্শ, হাসি ,কথার ডেলিভারি এগুলো বরপুরুষের সঙ্গে মেলে না। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার কী জানেন! নিজের স্বামী যখন অন্য কোন রমণীর কাছে পরপুরুষ হয়ে ধরা দেন…. তখন সেই রমণীর সামনে তাঁর কথা, হাসি, চাউনি অবিকল আপনার জীবনে আসা পরপুরুষটির মতো সুন্দরতম হয়ে ওঠে। তার মানে বরপুরুষকে পরপুরুষের মতো আচরণ করতে হবে। অফিস থেকে ফিরবেন। কলিংবেল বাজাবেন। বৌ দরজা খোলা মাত্র ফচাং করে একটা চুমু খাবেন। চা দাও চা দাও বলে গোঙাবেন না। ধরা যাক শ্যামবাজার পাঁচ মাথার কাছে আপনার অফিস । কুঁদঘাটে বাড়ি। অফিস ছুটির টাইমে ঘেমে নেয়ে পাবলিকের গুঁতনি সহ্য করে এতটা পথ উজিয়ে এসে বউকে চুমু খেয়ে আপনাকে বলতে হবে “চল আজ গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসি। রেস্টুরেন্টে ডিনার করে বাড়ি ফিরব।” …এইসব ব’লে বউয়ের হাতদুটো ধ’রে নিজের বুকে ঘষান দিতে হবে হালকা করে । বলতে হবে “রোজ রোজ রান্না ক’রে আর বাসন মেজে তোমার নখের কী অবস্থা হয়েছে সোনা!” বলেই চকাম চকাম করে বউয়ের দু হাতে  দুটো চুমু খেতে হবে।

কিন্তু এগুলো কোনোটাই আপনি পারবেন না। কারণ অফিসে যাওয়ার আগে গামছা মেলা নিয়ে আপনাদের মধ্যে এক চোট হয়ে গেছে। এছাড়াও আপনি মাছের ঝোল দিয়ে ভাত মাখার সময়

গলার স্বর নামিয়ে বলেছিলেন তোমার চেয়ে রান্নার  মাসির হাত ভাল। সে কারণেই দরজা খোলা মাত্র বউয়ের গালে ফচাং করে চুমু দিতে গেলে রাম ধাক্কা পাবেন। কাজেই নিজের বউয়ের কাছে আপনার আর পরপুরুষ হওয়া হবে না।

পরপুরুষের অসীম ক্ষমতা। হরিমটরতলা থেকে তিন মাইল হেঁটে তারপর পাকা রাস্তায় উঠে জনাদশেক মানুষ এবং খানকয়েক গবাদিপশুর সঙ্গে ভ্যান রিকশায় ঠাসাঠাসি করে বসে স্টেশন চত্বরে নেমে গেদে লোকাল ধরে ঘণ্টা দুয়েক ট্রেন জার্নির শেষে শহরে এসে নামেন। গোলাপ ফুল কেনেন। দরদাম করে দুটো কতবেল নেন। আপনি যে কতবেল খেতে কত ভালবাসেন সেটা পরপুরুষের ঠিক মনে থাকে।  যাইহোক, পরপুরুষের জার্নি এখানেও শেষ হয় না।আবার লোকাল বাস ধরে হাড়োয়া পৌঁছান।

ঠিক তার পরের স্টপেজে একটা একতলা বাড়িতে আপনি মধ্য বিকেলেই বরপুরুষের রাতের খাবার তৈরি করছেন তখন। খাবার গুছিয়ে মিটকেসে তুলে রেখে দরজায় তালা দিয়ে তড়িঘড়ি করে এক স্টপেজ পিছিয়ে আপনিও হাড়োয়া পৌঁছান এবং আপনাদের দেখা হয়। দীর্ঘদিন পর পর এই দেখা। কখনও রাস্তায়, কখনও স্টেশনে, কখনও তৃপ্তি কেবিনে, কখনও কোন পার্কে। দু’ পক্ষের এই যে অপ্রতিরোধ্য টান সেটা একমাত্র পরপুরুষ বা পরনারীর মধ্যেই থাকে। তাই বলে কী বরপুরুষের প্রতি কোনও কর্তব্যে ফাঁক থাকে? মাসে এক দুবার রেস্টুরেন্টে খাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, হাসি হাসি মুখ করে ফেসবুকে ছবি দেওয়া, অসুখ করলে নিয়ম করে সেবা যত্ন করা,পাজামার দড়ি বেঁধে দেওয়া….. সব তো চলতেই থাকে রুটিন মাফিক! কিন্তু এসব করতে করতে মনের মধ্যে একটিবারও জলতরঙ্গ বাজে না। এটাই সমস্যা। তবে একেবারের জন্যেও বাজেনি ,সে কথা বললে মিথ্যা বলা হবে। একটা ‘পর’ পুরুষ যখন সদ্য সদ্য বরপুরুষ হয়েছে, তখন তিনি আলজিভ বের করে হাই তুললেও মনে হবে … আহা রে ; কোনও বর আজ পর্যন্ত এত্ত বড় করে হাই তুলতে পারেনি।  কী সুন্দর হাই তোলে লোকটা!  মুখের ভেতর দিয়ে বুকের ভেতরটাও কেমন স্পষ্ট দেখা যায়… যেখানে লেখা আছে ও মধু, আই লাভ ইউ। কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম করে হিপোর মতো অমন বিকট টাইপের হাই তুলতে শুরু করলে সম্পর্কে বাই বাই হয়ে যায়। রোজ রোজ বিরিয়ানি খেলে বিরিয়ানির মাহাত্ম্য নষ্ট হয়। তখন মনে হয় আহা! তেঁতোর ডাল কত দিন খাইনি! পাট শাকের ঝোল। ওহ! সেই চাকা চাকা করে কাটা কাঁকরোল ভাজা!

যাকে রোজ দু’বেলা চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়, তার জন্য উদাসী বাঁশি বাজে না। ঝোলা ভরে আলুটা, মুলোটা এনে দিলেও বাজে না। যে লোকটাকে প্রায় প্রতিদিন চোখের সামনে গালে শেভিং ক্রিম ঘষতে দেখি, তার জন্য “তাড়াতাড়ি বাথরুম ফাঁকা কর”…. বাক্যটি ছুড়ে দিয়ে যে চোখের আড়ালে, অনেক দূরে আছে তার গালে লাগানো শেভিং ক্রিমে গাল বুলিয়ে আসি মনে মনে। মানুষের মন সর্বদাই সুদূরের পিয়াসী। দীর্ঘদিন পাশে থাকা মানুষটার জন্য মায়া তোলা থাকে কিন্তু প্রেম থাকে অন্য কোথাও। অন্য কোনখানে।
প্রেম— এই ছোট্ট শব্দটা কখনও সংসারে সেট হল না! ঘর আছে, মানুষ আছে, ঘনিষ্ঠতা আছে কিন্তু প্রেম নাই। কোথায় টাকা রাখলে বৃদ্ধ বয়সে ভাল ভাবে দিন যাপন করা যাবে …. সেই সুন্দর পরিকল্পনা আছে, প্রেম নাই। প্রেম তো ফ্রিজ বা পাশবই নয়,তাহলে সম্পাদিকা পরপুরুষ নিয়ে লিখতে বলতেন না। সেভাবে দেখলে প্রেমের কোন আর্থিক মূল্য নেই। দূর থেকে একজন আসছেন ….
বা একজন প্রেমের টানে দূরে ছুটে যাচ্ছেন … আসা যাওয়ার কতই বা খরচ! তার সঙ্গে দু কাপ চা বা কফি , দুটো স্যান্ডুইচ … ব্যাস ! কিন্তু ওই মুহূর্তটুকুর মূল্য কীভাবে ধরা হবে কেউ জানে না! বড় বাড়ি, দামী গাড়ি, অনেক ব্যাংক ব্যালেন্স থাকা সত্ত্বেও চোখ বুজে দামী কিছু ভাবতে চাইলে ওই মুহূর্তটির কথাই মনে পড়বে।
পুষ্পকে চোখে দেখতে পাই। কিন্তু পুষ্পের সৌরভ সে তো কেবল অনুভব করার বিষয়। দূরে থাকা পুরুষের সঙ্গে মিলনের আকাঙ্খা কল্পনায় শত পুষ্পের মত ফুটে ওঠে। হবে হবে ভাব, কিন্তু হয় না। পেয়ারার পাতা দিয়ে দাঁত মেজে ময়দানে হাজির হওয়া বিফলে যায়। সেদিনই যেন কীসের কারণে ফাঁকা ময়দান লোকে লোকারণ্য। হল না। আবার অপেক্ষা। শুধু অপেক্ষার অপেক্ষা নয় ,তার সঙ্গে অসংখ্য ছোট ছোট না ঘটা মুহূর্ত নিজের মনের মাধুরীতে চুবিয়ে সেই অপেক্ষার প্রকোষ্ঠে ঢুকিয়ে দিয়ে তীব্র অপেক্ষা।
পরপুরুষ ব্যথার আরাম নয়। আরামের ব্যথা। এ ব্যথা কী যে ব্যথা বোঝে কি আনজনে!
এ চোট পেয়ে রাধা মরেছে বৃন্দাবনে…আপনি তো কোন্ ছার!
প্রেম জিইয়ে রাখতে হলে আকাঙ্খাকে জিইয়ে রাখতে হবে। সারাজীবন একসঙ্গে একই ছাদের তলায় দিনরাত কাটানো দুটি মানুষের মধ্যে সেটা সম্ভব? যাঁরা পেরেছেন বা পারেন ,তাঁরা জীবনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতেছেন। যাঁরা পারেননি ,তাঁদের জীবনে ক খ গ ঘ এর প্রবেশ ঘটেছে। কিন্তু ব্যাপারটাকে জগাখিচুড়ি বানিয়ে দিলে চলবে না। ধরুন, আপনি ক এর গোঁফ আর ব্যক্তিত্ব নিলেন, খ এর কাছ থেকে নিলেন কপালের তেরচা কাটা দাগটা…। যেখানে আপনি মনে মনে দিনে প্রায় সত্তরটা চুমু খান, গ এর ঝাঁকড়া চুলে বিলি কাটতে চান ব’লে সেটাও নিলেন, ঘ এর থেকে নিলেন গানের গলা… এভাবে কিন্তু হবে না। ব্যাপারটা পুরো ঙ হয়ে যাবে। যদি ক আপনার পরপুরুষ হন, তবে কপালের কাটা দাগ ছাড়াই তাঁকে নিতে হবে। খ আপনার পর পুরুষ হলে তাঁর গোঁফটা কেন ক এর মতো চওড়া নয়, মনে এই হাপিত‍্যেস রাখলে মাথা থেকে পরপুরুষের ভূতটাকে নামিয়ে ফেলুন।
আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন তোমাতে করিব বাস/ দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষ মাস…. রবি ঠাকুরের এই গান আপনি কাকে উদ্দেশ্য করে গাইবেন সে কথা ভেবেছেন কখনও!
দাম্পত্যে বিরহ নেই বলেই হয়ত মিলনের আনন্দটাও নেই। যত বিরহ, তত বুক টাটান ব্যথা। যাকে হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারছি তার জন্য একরাশ মুখঝামটা।
যে আমার চেয়ে দূরে তার জন্যে মেঘের ভেলায় অভিমান আর আদর যায়। বাতিল কৌটোয় খুচরো জমে পরপুরুষের জন্যে। পরিবার সহ তারাপীঠ ভ্রমণে গেলে সেখানকার জাগ্রত মন্দিরে পরপুরুষটির নামে পুজো জমা পড়ে। পূজারীর কাছে ফিসফিস করে একটা নাম উচ্চারিত হয়।
দাম্পত্যে পরস্পরের প্রতি রেসপেক্টের অভাব হলে  সে বড় অসহায় দাম্পত্য। একজন নামকরা ডাক্তারবাবুর স্ত্রী অনেকের সামনে তাঁর স্বামীর সম্পর্কে বলেছিলেন “ও আবার ডাক্তার নাকি!” ….. তাঁরা একসঙ্গেই থাকেন। তবে তাঁদের সঙ্গে প্রেম থাকে না।
পরপুরুষ যদি মনে অসংখ্য ভালো লাগার মোমেন্ট তৈরি করে দিতে পারেন, নিস্তরঙ্গ জীবনে একটু আধটু দোলা লাগাতে পারেন, পরপুরুষের জন্য যদি আপনার ডাইরি লেখার পুরোনো অভ্যাসটা ফিরে আসে, ফিরে আসে উল কাঁটা দিয়ে সোয়েটার বোনার ইচ্ছে, গলায় ফিরে আসে হারিয়ে যাওয়া সুর….. তবে জীবনে একটা পরপুরুষ থাকুক না! ক্ষতি কি! সংসারের আগুনে ঝলসে যাওয়া মনটা যদি কারো মনের ওপর রেখে একটু শীতল হতে চায়, তবে মনকে না আটকানোই ভাল। কারণ মনের সঙ্গে আপনি কিছুতেই এঁটে উঠতে পারবেন না। আপনি ন্যায় নীতি এসব নিয়ে যতক্ষণ মাথা ঘামাবেন ,ততক্ষণে বাতাসের থেকেও দ্রুতগামী মন অলরেডি একজনকে খুঁজে নিয়েছে।
আমি এমন একজন রমণীকে চিনি ,তিনি স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে লোকাল পরপুরুষদের উপেক্ষা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পর পুরুষ বানিয়ে নিয়েছেন। স্বামী কোন আপত্তি করেননি। ভাবা যায়!
…………………        ……………………  ……….…………
এই পর্যন্ত পড়ে যাঁরা বলবেন পরপুরুষ অথবা বরপুরুষ … কোনোটাই তাঁদের লাগবে না। কারণ দুটোই আপদ এবং নানা ধরণের বিপদের কারণ।  দুটোই জীবন জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। ওসব প্রেম ফেম আসলে হরমোনের খেলা। মাঝে মাঝে শরীরে শরীর মিশুক কিন্তু মন – টোন ভীষণ রকমের মনোটোনাস ব্যাপার। কিন্তু ম্যাডাম  তা বললে কী করে চলবে! প্রকৃতির দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। ফুলের বনে ভ্রমরের কানাকানি, কার্নিশে চুম্বনরত পায়রার প্রেমবিলাস, জোছনায় জোয়ারের জল ফুলে ফেঁপে উঠে চাঁদকে ছুঁতে চাওয়ার তীব্র প্রচেষ্টা… এসব কী প্রেমের মহিমা নয়! যে নদী একলা তির তির করে বয়ে যেত, তার গা ঘেঁষে একটা নৌকা এসে দাঁড়ালে সে আহ্লাদে ঢেউ হয়ে ওঠে না?
পরপুরুষ হোক বা বরপুরুষ…যিনি মাধুর্য্য আর সম্মান দিয়ে আপনার জীবনকে ভরিয়ে তুলবেন ,জানবেন তিনি পরও নন বরও নন।তিনি আপনার প্রকৃত সোলমেট।
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু
পুকুরঘাট

পুকুরঘাট

একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

49 thoughts on “ঘরেও নহে পারেও নহে

  1. এইজন্য সাবিনাদি কে এত্ত আদর করতে ইচ্ছে করে। কি সুন্দর লিখলে তুমি।

  2. ,খুব সুন্দর লেখা। স্বাবলীল ভাবে স্বছন্দে এগিয়ে গেছে।
    ভাল লাগল খুবই।
    যদিও পরপুরুষ বরপুরুষ, পরনারী বর নারী কোনটা ই আমি ভালবাসি না।
    শুভকামনা রইল।

    1. পর জিনিসটাই তো মুখোরচক সে শারী হোক বা বর

  3. “ঘরেও নহে.. পাড়েও নহে” শিরোনাম দারুণ লাগলো.. পড়ে তো আরও ভালো লাগলো.. তবে নিজের বর কেও মাঝেমাঝে অন্যের বর ভেবে নিলে বেশ হয়.. সে-ও বেশ চমকে ওঠে..যদিও ব্যাপারটা বেশ কঠিন..

  4. এ লেখা যে কত বড় সত্যি। আমাদের বেঁচে থাকার রসদ। কাউকে ছোট আর অসন্মান না করেও নিজেদের একটু খোলা আকাশ। অনেক ধন্যবাদ সাবিনা। ভালবাসা কে সম্পর্কের লক্ষণ রেখায় কবেই আটকাতে পারা যায়? তার চেয়ে কল্পনা চলুক রাবণের বহুরূপী সন্ধানে

  5. শুরুতেই জমজমাট লেখা, আহা অপূর্ব।

    আগে আরো কী কী আসবে ভেবেই পুলকিত হয়ে পড়ছি।
    বেশীরভাগ ঘরনী গৃহিনীর শেষ আশ্রয়স্থলই ওই বুড়োঠাকুরদাদা এ একদমই ঠিক কথা।
    তাকেই পরাণসখা বন্ধু বানিয়ে সংসার নাট্যমঞ্চে চলে কুশীলবদের সুখী সুখী মুখ।

  6. দেখে সাবিনার লেখা
    যায় অনেক কিছু শেখা,
    সংসারের অন্যরূপ দেখা
    উজ্জ্বল হয় জীবন লেখা।।

  7. কোনো পুরুষেরই দরকার নেই বাপু! মনের মতো একজন সঙ্গী হলেই হলো। অবশ্যই তা মহিলা। না হলেও ক্ষতি নেই।

  8. তথাকথিত জটিল বিষয়ের সরল সুন্দর বিশ্লেষণ আর প্রকাশ…
    সম্মান আর হৃদ্যতা ভরা মুহূর্তরা জমুক, সেইটাই সঞ্চয়।

  9. খুব অনুপ্রাণিত হলাম, ম্যাম। রক্তমাংসের পরপুরুষ না খুঁজে এবার প্রয়োজন মতো বানিয়ে নেব, বাস্তব আর কল্পনা মিশিয়ে। দরকারে কবিতা ও লিখবে আবার ঘোড়া ও ছেটাবে type…. ভেবে দেখলাম এতে ঝঞ্ঝাট সবচেয়ে কম।

  10. লেখাটা পড়ে একটা সিনেমার কথা মনে পড়লঃ The Bridges of Madison County. শেষপর্যন্ত দায়ীত্ব বেছে নেওয়া এক প্রেমিকানারীর অমোঘ কাহিনী। সত্যি-ই যেন আকাংখা-ই প্রেমকে টিকিয়ে রাখে ! খুব সত্যি লেখাটির প্রতিটি শব্দ ❤️❤️

  11. নিদা ফাজলি লিখেছিলেন –
    ‘দুনিয়া যিসে কহতে হ্যয় জাদু কা খিলোনা হ্যয়
    মিল যায়ে তো মিট্টি হ্যয় খো যায়ে তো সোনা হ্যয়’
    – তো সেই চির আকাংক্ষিত ‘সোনার হরিণ’ এর স্বর্ণত্ব লুকিয়ে আছে ‘যায় না তারে ধরা’র চির অপ্রাপ্তি তে – ভাগ্যিস 🙂 সেই অভাবের জয় হোক। বড় ভালো লিখেছেন – বরাবরেরই মত!

  12. সাবিনা তরতর করে পড়ে ফেললাম।দুর্দান্ত !!

  13. সাবিনার লেখা পড়ে বরাবরের মত এবারেও মন খুশ হয়ে গেল। থ্যাঙ্ক ইউ সাবিনা। ভালবাসা নিও।

  14. খুবই মনোজ্ঞ রচনা… ভালোবাসা Sabina… ❤️❤️❤️

  15. আহা! সকলেই সোলমেট পাক। যার সঙ্গে মন মিললে মন এই লেখাটি পড়ার মত আরাম পাবে।

  16. খুব সুন্দর লেখা। বর্ষার সন্ধ্যায় আচারের তেল দিয়ে মুড়ি মাখা খাওয়ার স্বাদ পেলাম যেন পড়তে পড়তে। আহা! মেজাজ ফুরফুরে।

  17. আমার মেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও কোনদিন বিয়ে করবেনা, প্রেমে ধাক্কা খেয়ে নয়, এই সিদ্ধান্ত ওর নিজের। বোধহয় চারিপাশে দেখা অনেক অভিজ্ঞতার কারণে। আমি সর্বান্তকরণে ওকে সমর্থন করেছি, একেবারে একশ ভাগ।বলেছি- জী লে আপনা জীবন, যেমনভাবে যেভাবে ইচ্ছে। পরপুরুষ বরপুরুষ কাউকে প্রয়োজন নেই। ক্লান্তি বাড়ে, সমস্যায় আর সমস্যায় কখন প্রেম উধাও হয়ে যায়। বরপুরুষরা কখন অজান্তে অকারণে পরপুরুষটি হয়ে যায়, তখন কিসের সংসার, কিসের প্রেম, কিসের চাল ডাল তেল নুন… ৪১ বছর আগে আমিও যদি আমার মেয়ের মতো এমনভাবে ভাবতে পারতাম এখন তাহলে মেঘের তৃতীয় স্তরে বিচরণ করতাম

  18. আমার মেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও কোনদিন বিয়ে করবেনা, প্রেমে ধাক্কা খেয়ে নয়, এই সিদ্ধান্ত ওর নিজের। বোধহয় চারিপাশে দেখা অনেক অভিজ্ঞতার কারণে। আমি সর্বান্তকরণে ওকে সমর্থন করেছি, একেবারে একশ ভাগ।বলেছি- জী লে আপনা জীবন, যেমনভাবে যেভাবে ইচ্ছে। পরপুরুষ বরপুরুষ কাউকে প্রয়োজন নেই। ক্লান্তি বাড়ে, সমস্যায় আর সমস্যায় কখন প্রেম উধাও হয়ে যায়। বরপুরুষরা কখন অজান্তে অকারণে পরপুরুষটি হয়ে যায়, তখন কিসের সংসার, কিসের প্রেম, কিসের চাল ডাল তেল নুন… ৪১ বছর আগে আমিও যদি আমার মেয়ের মতো এমনভাবে ভাবতে পারতাম এখন তাহলে মেঘের তৃতীয় স্তরে বিচরণ করতাম

  19. পর আর বর তথা ঘর ও বাহির নিয়ে এত সুন্দর, সহজ ও সত্য বর্ণনা এ কেবল সাবিনাদিই পারেন। দুরন্ত❤️

  20. “তিনিই আপনার প্রকৃত সোলমেট “- সোল সাপোর্ট দিলাম লেখাটায়। খুউব ভাল লাগল।

  21. সত্যিই তো আমাদের সারাটা জীবন ‘ঙ’-র খোঁজে ই কেটে যায়।পরপুরুষও সময় এর ঘষটানিতে বরপুরুষের মতোই রঙচটা একঘেয়ে আটপৌরে হবে ই একদিন।তাই এর ওর থেকে খামচা মেরে কল্পনার ‘ঙ’ই অনেক বেটার অপশন।কারুর সঙ্গে হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!

  22. সাবিনা দিদি ♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️

  23. ওই যে ওটাই যে নেই গো,বিরহ,,’কেটেছে একেলা,বিরহের বেলা,আকাশ কুসুম চয়নে’
    তাই বরপুরুষ কেমন অভ্যাস হয়ে যায়,তারও হয়ত যায়,আমাতে।
    পরপুরুষ থাকলে বেশ একটা নদীর মতো জীবন হয়,,
    তা আর হয় কই!
    বড়ো আদরকাড়া লেখা গো,,

  24. দুরন্ত একটি লেখা।

    সত্যি বলতে কি প্রেম হল হরমোন জাত। বাস্তবে প্রেম মরীচিকার মত। আমরা ছুটে মরি বৃথাই। আসলে প্রেম প্রেম ভাব মনের মধ্যে জেগে উঠলে শরীরে গুড হরমোন সিক্রেশন হয়। আর জীবন পথে একা পথ চলা সত্যিই মনটোনাস। শুধু মাত্র নিজের জন্য রাধো, বাড়ো, খাও ……….এটাও মেনে নেয়া সম্ভবপর নয়।
    তাই আমরা যৌথজীবনে আবদ্ধ হ‍ই কিন্তু একঘেয়েমি গ্রাস করে আমাদের। আর তখনই বরপুরুষের জায়গা নেন পরপুরুষ যিনি মাঝে মাঝে মনের মধ্যে রিং টোন বাজিয়ে রান।

  25. ঘরটাই বোধহয় পরে’র হয়ে যায়। বাড়ি বাড়ি খেলা কি সবাই পারে! অনেক ভেবেছিস তুই। ভাসিয়েছিসও সহজ করে।

  26. আটপৌড়ে জীবনের সুরটুকু সাবিনা একেবারে সঠিক লয়ে ধরে ফেলে। এ লেখা পড়তে পড়তে সে কথা বার বার অনুভব করলাম। একটা কথা কানে কানে বলে যাই, আমার আবার বছর বছর পরপুরুষ পাল্টে যায়। কিশোরী বেলা থেকে রবীন্দ্রনাথকে ধরেছিলাম। তারপর এক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার স্টিভ ওয়াকে মনে ধরেছিল। তিনি ভারতবর্ষে শুধু খেলতে আসতেন না, অনেক সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তা এমন কত নাম আর বলব। আপাতত বাচ্চা গাইয়ে সনম পুরীকে ভালো লাগছে। সাবিনার লেখা পড়ে বুঝলুম আমি ঠিক রাস্তাতেই আছি।

  27. মূল লেখার মুখবন্ধটুকুই তো অসাধারণ।
    বরপুরুষ আমাদের আটপৌরে জীবনের অঙ্গ আর পরপুরুষ-ঐ যে আলমারিতে সযত্নে তুলে রাখা বালুচরি শাড়ি।জীবনে দুইয়েরই প্রয়োজন আছে,ক্ষেত্রবিশেষে।
    তবে,সবচেয়ে বড় কথা শেষ লাইনের কথাটা।
    ওটাই নির্ধারণ করবে,নির্বাচন করবে,আমার প্রয়োজন,আমার উচিত,আমার ভালোলাগা-মন্দলাগা।
    অনেক শুভেচ্ছা জেনো রিঙ্কু।খুব ভালো থেকো।

  28. সুন্দর লেখা। শেষ লাইনটাই মোদ্দা কথা।

  29. অপূর্ব তোমার লেখা। সবসময়ই দারুন লেখো। তবে আমার মতে বিবাহ র পর বর বউ দু তরফের সমান প্রচেষ্টাতে সম্পর্ক ঠিক থাকে আর সে ক্ষেত্রে জীবনে কোনো পরপুরুষের বা পরনারীর প্রবেশ সোজা নয়। কিন্তু যখনই সেই জীবনে একজনের অবহেলা নির্বিকার মনের ভাব এসে যায় তখনই সেই ফাঁকা জায়গা পুরণ এ অন্যের আবির্ভাব ঘটে। কেউ নিজেকে দমিয়ে রাখে কেউ বা বয়ে যেতে দেয়।

  30. তোমার অনেক লেখাই সোস্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত হয়ে এদিক ওদিক দেখতে পাই। কোনো গ্রুপে অন্য কেউ পোস্ট করলে ছত্রিশ ইঞ্চি বুক ফুলিয়ে পঞ্চাশ ইঞ্চি করে বলি –“”জানো ,সাবিনা আমার ব্যাক্তিগত বন্ধু””!এ লেখাটিও তেমনই একটি লেখা তোমার। অপূর্ব! 👌❤️❤️❤️❤️

  31. কী সুন্দর লেখা! ❤️❤️❤️… সোলমেট … সারসত্য।