মরুদেশের সবুজ বাগান

দুই সন্তানের জননী সুগৃহিনী মৌসুমী ঘর ও বাইরে সামলান সমান দক্ষতায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানির অধ্যাপক, বিজ্ঞান গবেষক। মৌসুমী তাঁর গবেষণার কাজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়ান। এ হেন কর্ম জগতে ব্যস্ত মৌসুমী কিন্তু নিজের ঘরটিকেও রাখেন ছবির মতোন। তাঁর ঘরে বাইরের সমস্ত কাজের অনুপ্রেরণা তাঁর স্বামী সুবীর, সুবীর মৌসুমী দীর্ঘদিন রাজস্থানের জয়পুরে আছেন। তাঁরা কেল্লার ইতিহাসে ঘেরা মরু দেশে স্বপ্নের বাড়িও বানিয়েছেন একখানি। সমান দক্ষতায় ঘরে বাইরে সামলানো এই অধ্যাপিকা তাই বাড়ির বাইরের বাগানটি অথবা ছাদের বাগানটিকে দিনের শেষে এসে যত্ন করতে ভোলেন না এতোটুকু। সেই যত্নে ফুলেরা সাড়া সিয়ে ভরিয়ে তুলেছে ওঁদের বাগান্টুকু। আর মৌসুমীর কাজই যে গাছের সঙ্গে। তাই বালির রুক্ষ শহরকে গাছে গাছে ভরিয়ে ফেলতে সেই তো পারবে। পুকুরঘাটের “ঘরে বাইরে পা” পর্বে রইলো মৌসুমির ঘরের বাইরের শীতের বাগান।
সুখী সুখী গৃহের প্রবেশ পথ বুঝি এমনই হয় ।সবুজ গাছ, সুড়কির রাস্তা আর দুপাশে কেয়ারি করা। ভেবে দেখুন তো এমনটা পেলে কি খুব আড়ম্বর লাগে এ জীবনে?
যেই সমস্ত বাগানে ফুলেরা হাসতে খেলতে পায় অবাধে সে বাগানের মালিকের হাসির অভাব হয়না
কেবল বাইরের বাগান নয় মৌসুমী মরুদেশে অন্দরটিকেও করে তুলেছে সবুজ। অন্দরে প্রবেশের আগে বারান্দাটির কোণায় কোনায়ও ফুলের সমাহার
মৌসুমী দেবনাথ
Opurbo