ওলো সই- সম্পাদকীয়
পুকুরঘাট পত্রিকা সাধারণত মেয়েদের অপ্রাপ্তি, প্রাপ্তি, চাহিদা, চাহিদা পূরণ, সমাজে মেয়েদের অবস্থান ইত্যাদির কথাই বলে। সেখানে হঠাৎ পরপুরুষ ও বরপুরুষ বিষয় কেন! আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টি রসাল, মুচমুচে।পরপুরুষ ও বরপুরুষের অবস্থান বা যুযুধান নিয়ে মেয়েদের কী যায় আসে, কী উন্নতি হয় মেয়েদের তাতে, কিছুই নয়! তবু আমরা এমন একটা বিষয় বাছার পেছনের গল্পটি বেশ কয়েক বছর আগেই শুরু হয়েছে।
আমরা যখন পুকুরঘাট নাম দিয়ে মেয়েদের দলটি খুলি তখনই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম এই ঘাটে কাব্য সাহিত্য যেমনই হোক মনের কথা আমরা খুলে বলব। এমন কথাও বলব যা নিয়ে মেয়েরা প্রকাশ্যে আলোচনাই করেনা। এমন কথাও বলব যা পুরুষেরা চায়ের ঠেকে, চণ্ডীমণ্ডপে বা খোলা বাজারে হাঁটু চাপড়ে বলতে পারে, অথচ মেয়েরা সেসব নিয়ে কথা বললেই জাত গেল জাত গেল রব ওঠে। গত তিন- চার বছরে আমরা এমন অজস্র বিষয় নিয়ে আড্ডা দিয়েছি। তেমনই আড্ডার একটি বিষয় ছিল এই “পরপুরুষ ও বরপুরুষ “। আড্ডা দিতে গিয়ে বুঝেছি এ বিষয় কেবল মুচমুচে রসাল নয়, এর মধ্য দিয়ে নারী, পুরুষের চাহিদা, অপ্রাপ্তি, অবদমন, সামাজিক অবস্থান এসব গল্পও উঠে আসছে। তাই হয়তো হাজার বছর ধরে কাব্য সাহিত্যে, ইতিহাসে এ সমস্ত সম্পর্ক স্থান পেয়েছে। তবে সেসব কথা কেবল উচ্চারিত হয়েছে পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে, পরস্ত্রী ও স্ত্রী বলে। আমরা কিন্তু উল্টো দিক থেকে এই ত্রিকোণ সম্পর্কের বিচার করেছি।
আমরা ভেবেছি এসব কথা কেবলমাত্র মেয়েদের দলে আটকে না রেখে প্রকাশ্যে আনব। তাতে কোনও লজ্জা, জড়তা থাকা উচিত নয়, থাকার কথাও নয়। এও ভেবেছি এ বিষয়ে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গিও জানব। লেখক হিবেও তাঁরা জানাবেন, পাঠক হিসেবেও মত দেবেন। আর পুকুরঘাট দলে পুরুষদের সামিল হবার কোনও উপায় নেই। ওইটে একান্ত মেয়েদের। তাই পুকুরঘাট পত্রিকায় নিয়ে এলুম বিষয়টি। এক মাস জুড়ে মাঝে মাঝেই নারী পুরুষ নির্বিশেষের লেখা আমরা এ বিষয়ে প্রকাশ করতে থাকব। তার সঙ্গে আরও নানান বিষয় ও নিয়মিত বিভাগ তো থাকবেই। ভালো থাকুন। মন খুলে কথা বলুন। জয় হোক সকলের।
নীলা বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদক, পুকুরঘাট পত্রিকা
কি সুন্দর একটা সম্পাদকীয়
খুব ভালো সম্পাদকীয়।
ভাল লিখেছ
চমৎকার সম্পাদকীয়
পুকুরঘাট পত্রিকা সম্পর্কে জানতাম না। একজন পরিচিতের লেখা পড়তে গিয়ে কৌতূহলে কিছু লেখা পড়লাম। ভালো লাগলো। এ পত্রিকা প্রত্যেকবার পড়া এবং লেখা পাঠানো দুটি বিষয়েই জানতে চাই
ধন্যবাদান্তে বাসবদত্তা কদম