সাপলুডো খেলা
(১)
দিনের পরে দিন এসে
সাজিয়ে দিয়েছে সময়
সে বড় চালাক খেলোয়াড়
কোন দিক থেকে যে গোল দেবে
তুমি বুঝতেই পারবেনা।
তুমি চোখ বন্ধ করে আবার চোখ খোলার মুহূর্তেই
উল্টে দেবে পাতা আর তুমি দেখবে
বদলে গেছে দিন যা কিছু সহজ সব
বৃক্ষ ছায়ার প্রত্যাশী হয়ে
রৌদ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
নরম পৃথিবীতে গেঁথে যাওয়া শিকড়ের টান
আর সে সামলাতে পারছেনা।
পড়ে যেতে যেতে সে হাত দিয়ে দিন স্পর্শ করতে ই
আরো একটা জন্মদিন এসে বলছে ,
"তুমি এখন উঠে পড়েছ সিঁড়িতে
আর মাত্র একদান
সাপের মুখ না সিঁড়ি কি চাই চাল দেওয়ার
আগে আমি ভেবেই পাচ্ছিনা।
(২)
ম্যাজিক
সমস্ত বিবর্ণ দুপুর গুলি এক ঝলকেই রঙে ভরে উঠেছিল
সব কানা গলি গুলো হঠাৎ উন্মুক্ত হয়ে হাত বাড়িয়েছিল বড় রাস্তায়
গ্রিল জড়িয়ে ফুল না ফোটানো মাধবীলতার ডালে
গান গিয়েছিল অচেনা সবুজ পাখি
যত মনখারাপের হাওয়া এতক্ষণ বয়ে যাচ্ছিল চারপাশে
ঘূর্ণির ভিতর শুকনো পাতার মত যত অনাদর পাক খাচ্ছিল এপাশ ওপাশ
সব উড়ে গিয়েছিল অন্য কোথাও
ঘটে বাঁধা নৌকো দড়ি খুলে একলাই ভেসেছিল স্রোতে
সমস্ত আমি টাকে ঝাঁকুনি দিয়ে গর্ত থেকে টেনে তুলে
যে মেয়ে এইসব ছায়া ভেলকি দেখালো
সে আসলে নদী
গলায় চূর্ণির কলতান ভরে আমাকে সে বলেছিল আমি সব পারি ।
সুপ্তশ্রী সোম
একদিন আমরা মাত্র কয়েকজন সদস্য নিয়ে পুকুরঘাট নামের একটি মেয়েদের ভার্চুয়াল দল খুলে ছিলুম। অচিরেই সে কয়েকটি সদস্যের দল কয়েক হাজার সদস্যের মেয়েদের দল হয় ওঠে। পুকুরঘাট দলের মত এত গুণী মেয়েদের সমাহার বাংলাদেশে খুব কম ভার্চুয়াল দলে আছে। কাজেই সেই দল সেখানেই আটকে থাকবে না বলা বাহুল্য। তাই পুকুরঘাট দলের অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে প্রকাশিত হলো পুকুরঘাট পত্রিকা।