টুকুদির টিপস

টুকুদিকে তো আপনারা সবাই চেনেন। আরে আপনাদের বাড়িরে তিনটে গলি ছেড়ে , সাত নম্বর বাড়িটা। এই, এইবারে বুঝেছেন। আমরা কি করে জানবো টুকুদিকে আপনারা কি নামে চেনেন। আমরা টুকুদি বলেই জানি। টুকুদি কিন্তু আমাদের সবার জীবনে কোনও না কোনও কাজে এসেছেন। আসলে টুকুদি অভিজ্ঞ মানুষ। জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত দেখেছেন,। তাই তাঁর কাছে পরামর্শ নিতে পাড়া বেপাড়ার মানুষরাও আসেন। আমরাও টুকুদির কাছে সেই আব্দার নিয়ে গেছিলাম। বলেছিলাম দিদি পুকুরঘাটের মেয়েদের নানা বিষয়ে পরামর্শ দিন। টুকুদি তখন আবার একটা টিপস দিলেন। বললেন ”এক মাথার পরামর্শে কখনও চলতে নেই রে। তে মাথা লাগে। অন্তত দু’জন। ” তাঁর সেই উপদেশ মেনে আমরা স্থির করেছি টুকুদি তো টিপস দেবেনই। সেই সঙ্গে টুকুরদির মতো নানান অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ আমরা নেবো। আজ যেমন মেয়েদের ঘরবার সামলানো নিয়ে টুকুদির সঙ্গে শোভনা মুখার্জি দিও নানান পরামর্শ দিলেন। প্রথমে টুকুদির টিপসগুলি বলে শোভনাদির টিপসও শুনবো আমরা। কোনটাকেই ধ্রুব সত্য বলে ধরবেন না। নিজের জীবন আসলে নিজের হিসেবেই চলে।
টুকুদির টিপস
বিষয় -ঘর বাইরে জীবন
যদি ঘর-বার দুটোই সামলাতে চান তবে
-
বিবাহের আগে এবং পরে তো বটেই সকলকে বোঝাতেই হবে আপনার চাকরি বা যে কোনও কাজ পুরুষের কাজের মতোই জরুরী
-
বিয়ের আগে যদি চাকরি বা ব্যবসা করে থাকেন তবে বিয়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজে যোগ দিন। এতে বাড়ির লোকেরা আপনার নিয়মিত বেরোনোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।
-
বাড়ি ফিরে বা স্বামীকে ইগনোর করে কেবল নিজেকে নিয়ে মত্ত থাকলে চলবে না। যতটুকু সময় হাতে সময় পান তা সকলকে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের জন্য সময় রাখুন।
- টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে দরকারে ডাইরিতে নোট রাখুন
-
সন্তান হওয়ার পর সে সংক্রান্ত জটিলতা না থাকলে মেটারনিটি লিভ শেষ হবার পরেই কাজে যোগ দেওয়া উচিত যত দেরি করবেন আপনার এবং আপনার সন্তানের পরস্পরকে ছেড়ে থাকা মুস্কিল হয়ে পড়বে
-
বাড়ি ফিরে বাচ্ছাকে যতটা সম্ভব সময় দিন। তার লেখা পড়ায় সাহায্য করুন।
-
কিন্তু আপনাকে ছাড়া খাবে না বা পড়তে বসবে না এ অভ্যেস গড়ে না তোলাই ভালো।
-
শ্বশুর-শাশুড়ি বা নিজের মা-বাবার সঙ্গে সুম্পর্ক রাখুন যাতে আপনার অনুপস্থিতিতে তাঁরা অনেকটা ম্যানেজ করতে পারেন।
-
কিন্তু মনে রাখবেন তাঁরা বাড়ির আয়া নন। তাঁদেরও সখ, আহ্লাদ ইচ্ছে অনিচ্ছে, শরীরের ভালো মন্দ আছে। সেটুকু আপনাকে বুঝতেই হবে।
-
সন্তানকে প্রথম থেকে স্বনির্ভর হতে সেখান। খুব ছোট থেকেই খাওয়া, চান করা, গা মোছা,মুখ ধোয়া, সময় মতো পড়তে বসা ইত্যাদি কাজে অভ্যস্ত করে তুলুন।
-
বাচ্ছাকে দেখার জন্য সহায়িকা রাখলে তাকে অবশ্য খুব বেছে রাখুন। তাঁর সঙ্গে ভালো ব্যবহার জরুরী।
-
বাড়ি ফিরে বাচ্ছার লেখা পড়ার যেমন খোঁজ নেবেন তেমন তার সঙ্গে গল্প গুজবও করুন।
-
সন্তানকে সব সময় খেলনা বা উপহার দেবেন না। বরং তার সঙ্গে বসে বুদ্ধির খেলা খেলুন যখনই সময় পাবেন।
-
সকালে বেরোনোর আগের দিন রাতে নিজে কী পরে বেরোবেন, ফাইল ল্যাপটপ, মোবাইল চার্জার সব গুছিয়ে রাখুন
-
পরেরদিন বাচ্ছার স্কুলের টিফিন গুছিয়ে রাখবেন
-
সকালে উঠে রান্না করে বেরোতে হলে আনাজ কেটে, চাল ধুয়ে যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখুন
-
ভালো ফুড হোম ডেলিভারি করে এমন সংস্থার সন্ধান রাখুন। যাতে আপনি রান্না না করতে পারলেও তারা সাপ্লাই দিতে পারে প্রয়োজনে।
-
বাচ্ছাকে নিজের কাজের গুরুত্ব বোঝান।
-
ছুটির দিন পরিবারের সঙ্গে চুটিয়ে উপভোগ করুন।
ভালো লাগলো
হ্যাটস অফ টু টুকুদি!
দারুণ সব টিপস দিদি।
সুন্দর টিপস টুকু দি ♥️
দারুণ টিপস্। আমার না হলেও মেয়ের বেশ কাজে লাগবে।
বেশ ভাল লাগলো টুকু দি
টুকুদিকে বছর ২০-২১ আগে দরকার ছিল আমার😛😛
বাহ্ দারুণ টিপস
বাহ্ সুন্দর টিপস সব
টুকুদি ঠিকই বলেছেন। এভাবেই আজকের নারীকে ঘর বার দু’দিকই সামলাতে হয়।
টুকুদির টিপস ভালো লাগল। অনেকগুলোই মেনে চলি। সব হয়ত পারিনা, তবে কেউ সবগুলো ফলো করতে পারলে উপকৃতই হবেন।
ভালো লাগল। প্রাসঙ্গিক
এখনকার বাবা মায়েরা এসব টিপস এর একটাও নেবেনা।সন্তানের হাতে মোবাইল গুঁজে নিজেরাও হুমড়ি খেয়ে ফেসবুক বা ইন্সটায় বুঁদ হয়ে যাবে। এসব আমরা অনেকটা মেনে চলেছিলাম।